কাউখালীতে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধু ঘরছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় অসহায়ের মত পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখার নজরে আনলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়।
জানাযায়, আড়াই বছর পূর্বে উপজেলার পারসাতুরিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ এর ছেলে রিক্সা চালক টুটুলের সাথে একই উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের এতিম কিশোরী সুখী বেগমের সাথে বিবাহ হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অভাবে সংসারে টানা পোড়নের মধ্যে শ্বশুর শ্বাশুরী সংসারের ঠুনকো অজুহাতে ও যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হাতুড়ি পেটা করে ঘর থেকে তারিয়ে দেয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা শ্বশুর শ্বাশুরীকে ডেকে এনে বিষয়টি শুনে স্বামীকে মুচলেকার মাধ্যমে নির্যাতিতা গর্ভবতী সূখী বেগমকে স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে বছর খানেক তাদের সংসার ভালোই চলছিল। আবারও যৌতুক লোভী স্বামী টুটুল গত বৃহস্পতিবার গৃহবধু সুখী বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় শারিরীক নির্যাতন করে সর্বশেষ বালিশ চাপা ও পেটে লাথি দিয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন সুখী বেগম। একপর্যায় কোনোরকম দৌড়ে রাস্তায় পালিয়ে আসে সুখী বেগম। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় দেখে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট নিয়ে আসলে কাউখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।