• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কেরানীগঞ্জে গরুর উচ্ছিষ্ট প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী 

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কেরানীগঞ্জে গরুর উচ্ছিষ্ট প্রক্রিয়াকরণ কারখানা, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী 

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ আগস্ট ২০২১

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া নতুন রাস্তা মোড় মুজাহিদ নগর এলাকায় একটি কারখানায় গরু জবাইয়ের পর ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে শুটকি জাতীয় দ্রব্য। কারখানা শ্রমিকদের দাবী, গরুর এসব উচ্ছিষ্ট প্রক্রিয়া করে রপ্তানি করা হয় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে। জানা গেছে, জেসি ট্রেডিং নামে প্রতিষ্ঠানটি কোন রকম পরিবেশের ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে কারখানাটি পরিচালনা করে আসছে। এদিকে কারখানাটিতে মজুদ করে রাখা উচ্ছিষ্টের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

আজ সোমবার সকালে সরোজমিনে কারখানাটিতে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার ভেতরে গরুর কাচা উচ্ছিষ্ট আলাদা করছে ৮/১০ জন শ্রমিক। কারো হাতেই নেই মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস। দীর্ঘদিনের পচা এসব উচ্ছিষ্ট নাড়াচাড়া করছে সুরক্ষা ছাড়াই। অন্যদিকে বিশেষভাবে তৈরি ড্রাইয়ারে শুকানো হচ্ছে এসব উচ্ছিষ্ট। আরেকদিকে শুকনো উচ্ছিষ্ট টেবিলের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকার আশপাশের কারখানা গুলোর শ্রমিকরা দুর্গন্ধে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ ইকবাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় অবৈধভাবে কারখানাটি পরিচালনা করে আসছে। কারখানা থেকে প্রতিনিয়তই ট্যানারি বর্জ্যের মতো উৎকট গন্ধ ছড়াতে থাকে। দুর্গন্ধের কারণে এলাকার লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

মাসুদ হাওলাদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা  বলেন, ‘কারখানার বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলকায় থাকা বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারখানার মালিককে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। আবার এই বর্জ্যের দূর্গন্ধে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ বালাই। শুধু তাই নয়, কারখানার চারপাশে বসতবাড়ি হওয়ায় তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

ফয়সাল আহমেদ নামে আরেক বাসিন্দা জানান,বর্জ্য ও দূষিত গন্ধে এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গন্ধের তীব্রতার কারণে কেউ রাস্তে দিয়ে হাঁটতেও পারে না। এখন বাধ্য হয়ে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেছি। যদি প্রশাসন এই অবৈধ কারখানাটি দ্রুত বন্ধ করতে পারে তাহলে এলাকাবাসী শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা লাইসেন্স নিয়েই এ ব্যবসা করছি তবে পরিবেশের ছাড়পত্র এখনো হাতে পাইনি। এসব উচ্ছিষ্ট প্রক্রিয়া করে রপ্তানি করা হয়।

কারখানার মালিক এরশাদ উদ্দিন বলেন, আমদের সব ধরনের কাগজ পত্র আছে। কুকুরের খাবার হিসেবে আমরা এগুলো কানাডা ও আমেরিকায় রপ্তানি করি। পরিবেশের ক্ষতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। 

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads