• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সেনবাগে বিকাশ প্রতারক চক্রের কবলে শিক্ষাথীরা

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

সেনবাগে বিকাশ প্রতারক চক্রের কবলে শিক্ষাথীরা

  • সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ আগস্ট ২০২১

করোনাকালিন সময়ে শিক্ষ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে নেই বিকাল প্রতারক চক্র। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরীহ কোমলমতি শিক্ষাথীদের টার্গেট করে তাদের উপবৃত্তি কাগজপত্রে ভুল সংশোধন ও করোনার প্রণোদনা প্রদানের কথা বলে শিক্ষাথী এবং তাদের অভিভাবকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের গোপন পিন নাম্বার হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েচ্ছেন। এসম প্রতারণার শিকার শিক্ষাথীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেনবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সেনবাগে নারীদের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলম সবুজ।

জানা গেছে, নোয়াখালীর সেনবাগে উচ্চ শিক্ষার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫টি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সেনবাগ সরকারি ডিগ্রি কলেজ, লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মহিলা কলেজ, বালিয়াকান্দি সুলতান মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ, কানকিরহাট বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ, ও আকবর আলী কারিগরি কলেজ।

করোনা শুরু হওয়ার পর সরকার শিক্ষাথীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর এ সুযোগে একটি বিকাশ প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে নানা প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাথীদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমন প্রতারনার শিকার হয়েছে সেনবাগের লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মহিলা কলেজের নিহির ও কোমলমতি শিক্ষাথী সালমা আক্তার ফারজানা আক্তার নামের একাদশ শ্রেনীর দুই শিক্ষাথী । প্রতারক শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সালমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান, সে দুই দফায় ২ হাজার ৪০০ ও ৩ হাজার ৪০০ টাকা পেয়েছে কি না, হ্যা সুচক জাবাব দেন শিক্ষাথী সালমা । এরপর ওই প্রতারক জানায়. ওই টাকাগুলো ছিলো মূলত সরকারের করোনা কালিন সময়ে প্রণোদনার টাকা । তার উপবৃত্তির ২৩ হাজার ৫০০ হাজার টাকা উপবৃত্তির কাগজপত্রে ভুল থাকায় তার বিকাশ একাউন্টে ডুকেনি। তাই উপবৃত্তির টাকা পেতে হলে ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। এইজন্য তাদের ঘরের একটি নাম্বার বলতে বলে । এরপর ওই শিক্ষাথী তার মায়ের মোবাইল নাম্বার জানালে ওই নাম্বারে ৫ সংখ্যার একটি ম্যাসেজ আসে। এরপর শিক্ষাথীকে তার মায়ের নাম্বারে দুই দফায় ২৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ৪৫ হাজার বিকাশ করে। এরপর ওই প্রতারক চক্র শিক্ষাথীর মায়ের একাউন্ট থেকে ৪৫ হাজার ও শিক্ষার্থীর নিজের ২হাজার টাকা সহ ৪৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

অপরদিকে ফারজানা আক্তার নামের একাদশ শ্রেনীর অপর এক শিক্ষাথীকেও প্রতারক শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার মোবাইলফোনে কল দিয়ে জানান, সে দুই দফায় তার মোবাইল ফোনে ২৪ করে ৪৮শ টাকা পেয়েছে কিনা। এরপর শিক্ষার্থীরা হ্যা সুচক জবার দিলে ওই প্রতারক চক্র জানান ওই টাকাগুলো ছিলো মুলত সরকারের করোনা কালিন সময়ে প্রণোদনার টাকা। তার উপবৃত্তির ৩০ হাজার টাকা উপবৃত্তির কাগজপত্রে ভুল থাকায় তার বিকাশ একাউন্টে ঢুকেনি। তাই উপবৃত্তির টাকা পেতে হলে ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। এজন্য তাদের ঘরের একটি নাম্বার বলতে বলে এরপর একে একে শিক্ষাথীর বড় ভাই, ফুফু ও চাচী নাম্বার হ্যাক্ড করে ১৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সেনবাগের অপর ৪টি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বিকাল প্রতারক চক্রের কথা স্বীকার করে জানান। তারা এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীতে সচেতন করার জন্য প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং নোর্টিশ বোর্ডে নোর্টিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল আলম সবুজ শিক্ষাথীদে উদ্দেশ্যে বলেন, কখনো কেউ তোমাদের বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বার চাইলে না দিতে। 

এ বিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুল বাতেন মৃধা এধরণে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতারকদের থেকে শিক্ষাথীসহ সকলকে সচেতন থাকতে হবে। বিকাশ কখনো গ্রাহকের গোপন নম্বর জানতে চায় না। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads