• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

আখাউড়ায় বাড়ি বাড়ি করছে করোনার টিকার নিবন্ধন

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দিন দিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। নানা কারণে সাধারণ লোকজন করোনা টিকা নিতে অনেকটাই যেন উদাসীন। এর মধ্যে গ্রামের লোকদের মাঝে এ অবস্থা সবচেয়ে বেশী রয়েছে। এই পরিস্থিতিকে পাল্টে দিতে এক ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছে মো. দ্বিন ইসলাম নামে এক যুবক। সে গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বিনা পয়সায় করোনার টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় ইতিমধ্যে সে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। দ্বিন ইসলাম আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ সংঘের একজন সদস্য।

স্থানীয় লোকজনরা জানায়, গ্রামের বেশীভাগ লোকজন সাধারণত স্মার্টফোনের যথাযথ ব্যবহার তারা জানেন না। তাছাড়া কি ভাবে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে নিবন্ধন করতে হয় সে বিষয়টি তারা না জানায় টিকা নিতে পারছেন না। এমন অবস্থায় দ্বিন ইসলাম নামে এই যুবক এগিয়ে এসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সে নিবন্ধন করিয়ে দিচ্ছেন।

দ্বিন ইসলাম বলেন গত ৪ দিন ধরে তিনি গ্রামের লোকদেরকে ‘সুরক্ষা অ্যাপের’ মাধ্যমে বিনা পয়সায় করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ কার্যক্রমে স্থানীয় লোকদের ভালো সারা তিনি পাচ্ছেন। সে আরো বলেন করোনার ভ্যাকসিন সহজলভ্য হলেও ভ্যাকসিনভীতি ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গ্রামের মানুষদের মধ্যে প্রথমে টিকা নিতে অনিহা ছিল। গ্রামবাসীকে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা ও করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করায় এখন ভ্যাকসিন নিতে কেউ অনাগ্রহ দেখান নি। তিনি আরো বলেন দিন দিন গ্রামের মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন নিতে ভালো সারা পাচ্ছি। বর্তমানে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন সেটের মাধ্যমে তিনি নিবন্ধনের কাজ করছেন। যদি ল্যাপটপ থাকতো তাহলে এই কাজ আরো দ্রুত করা যেতো ও সহজ হত। গত ৪ দিনে ২০ জন লোককে নিবন্ধন করেছেন বলে জানায়।

হীরাপুর গ্রামের গৃহিণী লিমা আক্তার বলেন, টিকা নিবন্ধন করতে না পারায় এতো দিন নিতে পারিনি। কিন্তু ঘরে বসে সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পারায় তিনি দক্ষিণ ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ সংঘের সদস্যসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন ।

মো. হারুণ মিয়া বলেন, টিকা প্রয়োজনতা নিয়ে কেউ আমারেকে ওই ভাবে বুঝাই নি। কিন্তু ওই যুবকের কাছ থেকে শুনে টিকা নিতে আগ্রহ তৈরী হয়। সে বাড়িতে এসে করোনা টিকার দেয়ার জন্য ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ায় তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন , সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিক যার যার অবস্থান থেকে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা ও করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন টিকার কোন বিকল্প নেই। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সরকারের দেওয়া নির্ধারিত বয়সের লোকদেরকে টিকা নিতে অনুরোধ জানান।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, এখনো গ্রামের মানুষ টিকা নিতে কিছুটা অনিহা থাকলে ও এখন টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads