• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

শিল্প মিটার চুরি; ফেরতের নামে চাঁদা দাবি!

  • মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিটার চোর চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের (মিটারের গ্রাহক) ব্যবসায়ীরা। মিটার চুরি করে সেইস্থানে মোবাইল নাম্বার দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে চাঁদা আদায় করছে একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। সম্প্রতি উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দক্ষিণ নাজিরপাড়া ও সোহাগপুর এলাকায় ৪টি শিল্প মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই ওই ইউনিয়ন থেকেই ১৭টি মিটার চুরি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। মিটার চুরির পর সোমবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, গত শনিবার ভোরে নিরাপত্তা প্রহরী দায়িত্ব শেষে চলে গেলে গোড়াই শিল্পনগরী এলাকা থেকে ৪টি মিটার চুরি করা হয় এবং চুরির পর মিটার বাক্সে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে চলে যায় চোর। সেই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠালে তার চুরিকৃত মিটার ফেরত দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক মাহবুব ও নয়ন নামের দুই ব্যবসায়ী মিটার পাওয়ার আশায় ইতিমধ্যে চোরচক্রের কাছে দাবিকৃত ১১ হাজার টাকাও দিয়েছেন।

সোহাগপুর বাজারের ব্যবসায়ী শওকত খান বলেন, শনিবার তার মার্কেটের দুটি শিল্প মিটার চুরি হয়েছে। চোরের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে চাঁদা দাবি করছে। আমি তাকে চাঁদা না দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে মিটার প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগতভাবেও চোর শনাক্তের চেষ্টা করছি।

গোড়াই দক্ষিণ নাজিরপাড়া এলাকার নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক মাহবুব আলম বলেন, চোরের দেয়া নাম্বারে যোগাযোগের পর তারা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। মিটার চুরি হওয়ায় আমার দোকানের কর্মচারীদের খরচ ঠিকই বহন করতে হচ্ছে কিন্তু কোনো কাজই করতে পারছি না। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাই, এই চক্রের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেয়া হোক।

গোড়াই পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. নুরুন্নবি সিদ্দিকী বলেন, মিটার চুরির ঘটনার সংবাদ জানতে পেরেছি, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ৩০০ থ্রি ফেজ মিটারের একজন গ্রাহক অভিযোগের একটি কপিও জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তিনি উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগীরা থানায় জি.ডি করে মিটারের জন্য আবেদন করলে মিটার প্রতিস্থাপন ব্যয়ে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. আইয়ুব আলী বলেন, এ ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads