• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
লঞ্চ চলাচল বন্ধ: সদরঘাটে যাত্রীর আহাজারি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

লঞ্চ চলাচল বন্ধ: সদরঘাটে যাত্রীর আহাজারি

  • ইমরান হুসাইন, জবি
  • প্রকাশিত ০৬ নভেম্বর ২০২১

ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় লঞ্চঘাটে এসে আটকা পরেছেন হাজারো যাত্রী।

গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ শূন্য হয়ে আছে সদরঘাট টার্মিনাল। টার্মিনালে কোনো লঞ্চ নেই।লঞ্চের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেক যাত্রী। আবার কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছেন।

এদিকে লঞ্চ না পেয়ে হাতাশা প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। টার্মিনালে নাজমা বেগম এক যাত্রীকে দেখা গেছে আহাজারি করতে। তিনি বলেন, আমি মনে হয় মায়ের মুখখানী শেষ বারের মতো দেখতে পাবো না। মা তুমি মাফ করে দিও। শেষবারের মতো আমি তোমার মরা মুখ খানিও দেখতে পারছি না।

তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য এসেছি। আমার মা মারা গেছে। বাস বন্ধ থাকায় সদরঘাট এসে বসে আছি দুপুর থেকে। এখনও কোনো লঞ্চ নাই ঘাটে। জানি না মায়ের মুখখানি দেখতে পারবো কি না।

সদরঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরাও। পরীক্ষা দিতে এসে আটকা পড়েছেন তিনজন।

তারা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের পরীক্ষা ছিল ৭ তারিখে। আমরা দুইদিন আগে এসে এলাকার এক ভাইয়ের মেসে ছিলাম। হঠাৎ পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়াতে আমাদের এখন গ্রামে ফিরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু গাড়িও চলে না লঞ্চও চলে না। কিভাবে বাড়ি যাবো বুজতে পারছি না।

ব্যবসায় কাজে ঢাকায় আসা হায়দার আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ঢাকায় এসেছিলাম দোকানের জন্য শীতের কাপড় কিনতে। এসেই আটকা পড়েছি। দোকানের মাল কিনে গাটি বেধে বসে আছি ফিররা উপায় নাই।

হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত কালকেই ছিলো। সরকার আমাদের দাবি না মানায় আজ দুপুর ১২ টা থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে।

যাত্রীদের আটকা পরার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার যদি যখন তখন লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমরা কেনো পারবো না। করোনার মধ্যে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে সরকার আমাদের একটাকাও লোন, প্রণোদনা দেয়নি। আমাদের স্টাফদের বেতন দিতে হয়। আমাদের কথা তো কেউ ভাবে না। তাহলে আমরা কেন সবার কথা ভাববো?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads