• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ঘন কুয়াশায় বাড়ছে শীত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ঘন কুয়াশায় বাড়ছে শীত

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২১

হিমেল হাওয়ায় আর ঘন কুয়াশায় কবলে উত্তরের হিমালয়ঘেঁষা লালমনিরহাটের মানুষ। শীতে তীব্রতায় বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট বেড়েছে নিদারুণ। শীতের তীব্রতা হুহু করে বাড়ছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েক দিনে শীতে তীব্রতা কম থাকলেও রাত থেকে হুহু করে শীতে তীব্রতা বেড়েছে। শীতের তীব্রতা ও হিমেল হাওয়া বাড়তে শুরু করায় সাধার মানুষ কাবু হয়ে পড়ছে। তিস্তাপারের শিশু বৃদ্ধ সকলেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।

লালমনিরহাটের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের লক্ষাধিক মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শীতে খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্মে যেতে না পেরে কষ্টে দিন পাড় করছেন। গত পাঁচ দিনে থেকে শীতের তীব্রতা না থাকলেও গতরাত থেকে শীতের তীব্রতা হুহু করে বেড়েছে। এতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, হূদরোগসহশীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায়, নিউমোনিয়া ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে শিশুসহ ২০ জন।

তিস্তার পাড়ের লাভলু মিয়া জানান, গত পাঁচ দিন থেকে তিস্তার পাড়ে শীতে তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় এলাকার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে।

সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা বেশি। শীত আর ঠান্ডা বাতাসে অনেক অসহায় পরিবার কষ্টে দিন পার করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগীর সংখ্যা পারবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads