• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে লঞ্চ মালিকের সংবাদ সম্মেলন

ইনসেটে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন

সারা দেশ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে লঞ্চ মালিকের সংবাদ সম্মেলন

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০২১

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন ওরফে ভাইয়া বাহিনীর প্রধান বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেসার্স এ ওহাব মেরিন নেভিগেশন কোং ও মেসার্স জাহিদ শিপিং লাইন্স এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ আশ্রাফুল আলম জাহিদ।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এর ১৩ নাম্বর পল্টুনে নোঙ্গর করা জাহিদ ৮ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এম ভি জাহিদ শিপিং লঞ্চ মালিক আশরাফুল আলম জাহিদ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৭ নভেম্বর দশমিনা উপজেলা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ওরফে ভাইয়া বাহিনীর প্রধান ইকবাল মাহমুদ লিটন আমাকে আপ্যায়নের কথা বলে চায়ের দোকানে বসান এসময় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার উপজেলায় চারটি ঘাটে লঞ্চ নোঙ্গর করানোর জন্য নিজস্ব লোক নিয়োগ দিতে হবে বলে জানান এবং প্রতি মাসে তাকে চাঁদা বাবদ ৬ লক্ষ টাকা দিতে বলে দাবি করেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় আমার লঞ্চ তার উপজেলার চারটি ঘাটে লঞ্চ নোঙ্গর বন্ধ করে দেয়। গত ১৯ নভেম্বর রাঙ্গাবালী থেকে ঢাকা উদ্দেশ্য যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে জাহিদ- ৩ লঞ্চটি আউলিয়াপুর আসলে ভাইয়া বাহিনীর সহযোগী সদস্য মোঃ সায়েম (৩৮) স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে আমার মালিকানাধীন জাহিদ ৩ লঞ্চ এ হামলা চালায়। এতে লঞ্চের মাস্টার আব্দুস সাত্তার (৭০) মারধর করলে তার পায়ের রগ কেটে দেয় এবং হাত ভেঙে দেয় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়াও লঞ্চের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম এবং টিকেটকেরানী জামিলকে বেধড়ক মারধর ও ব্যাপক পরিমান ভাঙচুর চালায়, লঞ্চে থাকা ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় দশমিনা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ৫ জনসহ আরো অজ্ঞাত ৮/১০ জনের আসামি করে দশমিনা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান। জাহিদ শিপিং এর মালিক সরকারের নৌযান সংশ্লিষ্ট নৌ মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কল্যান সমিতির সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক এসোসিয়েশন এর সহ সভাপতি আব্দুল মালেক মাস্টার, লঞ্চ শ্রমিক এসোসিয়েশন জোনাল কমিটি ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, শিপিং লঞ্চ গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সোবহানসহ বিভিন্ন লঞ্চের মালিক শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নৌযান শ্রমিকদের মারধর করার প্রতিবাদে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহ আলম মিয়া। তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। না হলে নৌ যান শ্রমিকদের সকল সংগঠন মিলে আন্দোলন হুমকি প্রদান করেন। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। অন্যথায় এই রুটে চলাচলকারী সকল নৌযান (লঞ্চ) বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads