• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কলেজ শিক্ষকের কাছে ইউএনও অফিসের কর্মচারী প্রহৃত

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ ডিসেম্বর ২০২১

গাজীপুরের কালীগঞ্জে অতিরিক্ত মাস্ক না দেওয়ায় ইউএনও অফিসের জারিকারক তারেক ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে প্রহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীফ হোসেন নামের এক কলেজ শিক্ষক তাকে প্রহার করেন।

আজ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার তারেক ভূঁইয়া। এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে কালীগঞ্জ আর.আর.এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সাথে শপথ বাক্য পাঠের প্রাক্কালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক শরীফ হোসেন সরকারী কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক।

জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার স‍ুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ মাঠে উপস্থিত সকলকে মাস্ক দেওয়ায় হয়। এ সময় কলেজ শরীফ হোসেন ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী মিঠুন দত্তের কাছে মাস্ক চান এবং তিনি তাকে একটি মাস্ক দেন। পরে আরো ৫টি মাস্ক চাইলে মিঠুন দত্ত ওই শিক্ষককে তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। আর তাতেই কলেজ শিক্ষক শরীফ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুনকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করেন। এ সময় ইউএনও অফিসের জারিকারক তারেক ভূঁইয়া ঘটনার প্রতিবাদ করলে তার উপরও ওই শিক্ষক চড়াও হন। তিনি তারেককে “এই শালা তুই কে” বলে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

শিক্ষক কর্তৃক প্রহৃত তারেক ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকের ঘুষিতে আমার চোখের নিচে জখম হয়েছে। এছাড়াও আমাকে মারতে বাধা দিলে শামসুন্নাহার নামের আমাদের আরেক নারী সহকর্মীর গায়েও হাত তুলেছে ওই শিক্ষক। ঘটনার সময় উপজেলা যুব উন্নয়ন স্যার ওই শিক্ষককে শান্ত করতে চাইলে তার সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে ওই শিক্ষকের খারাপ আচরণ ও আঘাতের শিকার মিঠুন দত্ত এবং শামসুন্নাহার ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারী কর্মচারী সমিতি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান এরশাদ বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর গায়ে হাত দেওয়া এটা কোনভাবেই আমাদের সংগঠন মেনে নিবেনা। দোষীর উপযুক্ত বিচারের পাশাপাশি অতি দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

অভিযুক্ত শিক্ষক শরীফ হোসেন বলেন, আমাদের জন্য আরো ৫ পিস মাস্ক প্রয়োজন ছিল। আমি প্রয়োজনীয় মাস্ক চাইতে গেলে কর্তব্যরত ব্যক্তি মিঠুন আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। কর্মচারীর গায়ে হাত তুলেছেন কেন এমন এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি। বরং তারেক আমাকে মারতে উদ্যত হয়েছে।

সরকারী কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস মিয়া জানান, দেশের জাতীয় একটি কর্মসূচিতে এ ধরণের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। যিনি এই ঘটনার সৃষ্টি করেছেন তা মোটেও ঠিক করেননি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান বলেন, জাতীয় দিবসের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ ধরণের ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। তবে এ ঘটনার ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান উপজেলার নির্বাহী ওই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads