• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার মামলা

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ ডিসেম্বর ২০২১

মৌলভীবাজারের আদালতে ৯২৪টি মামলায় অন্তত ১শত কোটি টাকার মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাসের মেয়াদে। অধিকাংশ মামলা দায়ের হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। মামলায় তালিকায় আসামি আছেন কৃষক, প্রান্তিক নারী, খেটে খাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষ। মামলা দায়ের করায় শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি, সরকারি ব্যাংক, এনজিও আর গ্রাম শহরের সুদের কারবারিরা।

মৌলভীবাজার আদালত সূত্রে জানা যায়, জুলাই-২০ থেকে জুন-২১ পর্যন্তু মোট ৯২৪টি মামলা হয়েছে এনআই এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায়। এর মধ্যে ৭৮টি মামলার নিষ্পত্তি বিচার হয়েছে। আদালত বদল হয়েছে ৪৪২টি ও বিচারাধীন রয়েছে ৪০৪টি মামলা।

মৌলভীবাজার আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার মামলার ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণের হিসেব নিদিষ্ট করে মোট করা হয় না। তাই মামলার বিপরীতে সঠিক টাকা পরিমাণ বলা যায় না।

তিনি আরো জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে মামলা গুলো হয়ে আসছে তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তি মামলার বাদী হন তাই কোন প্রতিষ্ঠান কতটি মামলা করেছে সেটাও তারা বলতে পারেন না।

তবে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ৯২৪টি মামলার বিপরীতে টাকা পরিমাণে অন্তত কয়েক শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ফৌজদারি ও অর্থ ঋণ আদালত মিলিয়ে এর পরিমাণ অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।

এ ব্যাপারে আদালত প্রাঙ্গনে কথা হয় মামলার আসামি অনেক ভোক্তভোগীদের সাথে। তারা কেউ এসেছেন ব্যাংকের মামলায়, কেউ এনজিওর মামলায় কেউ এসেছেন সুদ কারবারিদের হাতে নাজেহাল হয়ে। তাদের অধিকাংশের দাবী মহামারি কোভিড-১৯ এর আগ থেকেই ব্যবসা মন্দা যাচ্ছিল পরবর্তীতে তাদের ব্যবসা ভেসে গেছে কোভিড-১৯ ভয়াল থাবায় কিন্তু কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা তারা পাননি। উল্টো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে উপেক্ষা এ সময়ে এ খাতের ক্ষুদ্র লোনকে খারাপ লোন মানিয়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে একাধিক ব্যাংক এনজিওর উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় তবে তারা কোন বক্তব্য দিতে তারা রাজি হননি।

এ ব্যাপারে কথা হয় মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান মিজানের সাথে। তিনি মনে করেন, ব্যাংকের পাওনা টাকা আদায় করার খাতিরে ব্যাংক মামলা করতে বাধ্য হয়।
তিনি জানান, গত মাসে দুই চেকের বিপরীতে ব্যাংকের পাওনা ৪০ লাখ টাকা আদায়ের জন্য তিনি দুই মামলার আইনজীবী হয়েছেন।

মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. পংকজ সরকারের মতে আইনের দৃষ্টিতে সকলের অধিকার সমান কিন্তু অনেকেই সাক্ষী প্রমাণাধির অভাবে এ জাতীয় মামলায় হেরে যান।

মৌলভীবাজার আদালতের একজন বিচারক বলেন, অধিকাংশ ব্যক্তি লোভে পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অগ্রিম চেক দিয়ে রাখেন। সেই চেকই পরবর্তীতে প্রমাণ হিসেবে হাজির করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আদালতে মামলা হয়। সেই হিসেবে বিচার করা হয়। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে আরো সর্তক হতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads