চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে দূর্বত্তদের গুলিতে হযরত আলী (৫৫) নামে এক বিজিবি সোর্স নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত রহিছ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতর ছেলে তৌফিক হোসেনের দাবী, তার বাবা হযরত আলী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) সোর্স হিসেবে কাজ করতো। এ কারণে চোরাকারবারীরা তার বাবাকে হত্যা করেছে।
তৌফিক বলেন, রাত একটার দিকে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে, পাশের কক্ষে আমার বাবার গোঙ্গানির আওয়াজ শুনতে পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি বাবার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে, বাবাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নিই। রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রাত ১ টার ২০ মিনিটের দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসে বৃদ্ধ। তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। রাত পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম লুৎফুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রহিম উদ্দিন বিজিবির সোর্স ছিলেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।