আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই গারো তরুণী। বাড়ির কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর সড়কে তাদের গতিরোধ করে কয়েকজন বখে যাওয়া তরুণ। হত্যার ভয় দেখিয়ে ২ গারো তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এমন অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কয়েকজন তরুণের ওপর।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গাজীরভিটা ইউনিয়নের কাটাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার ধর্ষণের প্রতিবাদে উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের কাজলের মোড় এলাকায় দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যানারে স্খানীয় লোকজন ও বিভিন্ন গারো ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনসহ এলাবাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পলাশ রিছিল, নিবেশ ও রুপমসহ গারো নেতৃস্থানীয় লোকজন। বক্তরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
হালুয়াঘাট থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর দুই স্কুল শিক্ষার্থী হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে ৩০ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ অনুযায়ী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও সহযোগিতার দায়ে ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নের কচুয়াকুড়া এলাকার আবদুল মান্নান এর ছেলে রিয়াদ হোসেন, একই এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে শরিফ , আঃহামিদ এর ছেলে মিয়া হোসেন , কাটাবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন এর ছেলে রমজান আলী , একই এলাকার তালেব হোসেন এর ছেলে কাউসার দুলাল মিয়ার ছেলে আছাদুল , মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে শরিফুল ইসলাম, আঃ মতিনের ছেলে মিজান, কচুয়াপাড়া এলাকার মফিজুল ইসলামরে ছেলে রুকন, কাটাবাড়ী এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে মামুন ।
জানতে চাইলে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।