দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আলোচিত কিশোর রিসানকে (১৬) ডান পায়ের রগ কেটে এবং জবাই করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হয়েছে মূল হত্যাকারী নিহত রিসানের বন্ধু স্বাধীন উদ্দিন (১৯) সহ হত্যায় জড়িত আরো দুই কিশোর।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ওই হত্যাকারী হলো দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের বিল্লাল উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় পানের দোকানদার। গ্রেপ্তার আরো দুজন কিশোর বয়সী হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি র্যাব।
গতকাল রোববার (৩০ জানুয়ারী) ঘটনা ঘটার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করে র্যাব। সোমবার ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মইদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রায় ১০ মাস আগে নিহত রিসান গ্রেফতার আসামী স্বাধীনের কাছে প্রতি মাসে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার নেয়। তিন মাস সুদের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করলেও, পরে সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় কিশোর রিসান। এ নিয়ে তাদের দুজনের মাঝে দন্দ্ব হয়। এছাড়াও কিশোর রিসান হোটেলে কাজ করে মায়ের কাছে ২০ হাজার টাকা জমা করেছিল। যা ঘাতক স্বাধীন কোন ভেবে জেনে যায়। এর জের ধরে গত ২৭ তারিখ ঘাতক স্বাধীন তার আরো দুই সহযোগীকে নিয়ে রিসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ তারিখ রাত ১০ টায় ঘাতক স্বাধীন তার অপর দুই সহযোগীর মাধ্যমে রিসানকে রানীগঞ্জ গোহাটির পেছনে সাপ্তাহিক খাবারের হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর স্বাধীন তার পানের দোকান বন্ধ করে ওই হোটেলে যায় এবং পাওয়া টাকা ফেরত চাওয়ার এক পর্যায়ে নিজের কাছে থাকা একটি চাকু দিয়ে রিসানের গলা কেটে দেয়। পরে অপর আরেক কিশোর তার নিজের কাছে থাকা আরেকটি চাকু দিয়ে রিসানের পায়ের রগ কেটে তাকে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারী দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ গোহাটির পেছনে একটি হোটেলের ভেতর থেকে কিশোর রিসানের মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন নিহত রিসানের মা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহত রিসান রানীগঞ্জ আলহেরা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। পাশাপাশি হোটেলে হোটেল বয়ের কাজ করত।
