• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বিলাঞ্চলে জমি চাষাবাদের একমাত্র ভরসা নৌকা টিলা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বিলাঞ্চলে জমি চাষাবাদের একমাত্র ভরসা নৌকা টিলা

  • গৌরনদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিলাঞ্চলের মাটি নরম ও প্রায় বারো মাসই পানিতে ডুবে থাকায় পাওয়ার টিলার কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিলাঞ্চলের জমি চাষাবাদের জন্য কৃষকের কাছে গত দুইবছর ধরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয়ভাবে তৈরিকৃত নৌকা টিলার।

সরেজমিনে গৌরনদীর পশ্চিম দোনার কান্দী গ্রামের কৃষক বাবু সমদ্দারসহ একাধিক কৃষকরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বিলাঞ্চলের কৃষকের কাছে গরুর হালই ছিলো একমাত্র ভরসা। কালের বিবর্তনে গরুর হাল অনেকটা বিলুপ্ত হওয়ায় বিলাঞ্চলের কৃষকের বোরো মৌসুমে অনেকটা বিপাকে পড়তে হয়। এরইমধ্যে গত দুইবছর পূর্বে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দোনার কান্দী গ্রামের মনোতোষ নামের এক চাষী স্থানীয় ওয়াকর্শপ দিয়ে নিজের মেধায় বিলাঞ্চলের নরম মাটিতে ও পানির মধ্যে জমি চাষাবাদের জন্য একটি নৌকা টিলার নির্মাণ করেন। স্টীল বডির একটি নৌকার ওপর ডিজেল চালিত পাম্প মেশিন বসিয়ে বিশেষ কৌশলে নৌকার পেছনে লাগানো ট্রাক্টরের ২০টি লোহার লাঙ্গল দিয়ে চাষবাদ করা হয় বলেই স্থানীয়ভাবে এ যন্ত্রের নাম দেয়া হয়েছে নৌকা টিলার।কৃষকরা আরও বলেন, প্রথম বছরেই বিলাঞ্চলের পুরো এলাকায় মনোতোষের নৌকা টিলারটি ব্যাপক সারা ফেলে। ফলশ্রুতিতে গত দুই বছরে গৌরনদীর বিলাঞ্চলের জমি চাষাবাদের জন্য স্থানীয়ভাবে অসংখ্য নৌকা টিলার নির্মান করা হয়েছে।নৌকা টিলারের প্রথম নির্মাতা মনোতোষ বলেন, প্রতিটি নৌকা টিলার নির্মানে খরচ হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকা। গত বছর প্রতি বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য চাষীদের কাছ থেকে ১২শথ টাকা নেওয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১৪শত টাকা।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নৌকা টিলারের দুইজন চালক, জ্বালানী খরচসহ অন্যান্য সকল খরচ মিটিয়ে প্রতিদিন লাভ হচ্ছে প্রায় তিন হাজার টাকা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads