• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পশু মেলায় দৃষ্টি কাড়ছে খাসি ও গাড়ল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

পশু মেলায় দৃষ্টি কাড়ছে খাসি ও গাড়ল

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কেউ এনেছে গরু, কেউ বা এনেছেন ছাগল, খাসি, ভেড়া, কেউ এনেছেন কবুতর আর খরগোশ। মাঠ জুড়ে শুধু দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির পশু পাখি। খামারিরা যেন সকাল থেকে সারিবদ্ধভাবে যার যার স্টলে বসে আছেন। ওই সব পশুদের কেউ দিচ্ছেন লতা পাতা ঘাস সহ নানা প্রকার খাবারও। পশু পাখি প্রদর্শন করতে খামারিরা যেন এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করছেন। ওইসব পশু পাখির মধ্যে আগত লোকদের দৃষ্টি কাড়ছে হারিয়ানা খাসি ও গাড়লের। সবাই যেন খাসি ও গাড়ল দেখতে ভিড় করছেন। এমন দৃশ্য দেখা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপী পশু মেলায়। দিনব্যাপী জানজমক পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া মেলায় স্থান পেয়েছে দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির পশু পাখি।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধান অতিথি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্ধোধন করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরিন শফিক আলিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মুসলেহ উদ্দিন আহম্মেদ, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার প্রমূখ।

এ মেলায় ২৪টি স্টল বসে। গরু, ছাগল, খাসি, ভেড়া, কবুতর, খরগোশসহ দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির পশু উঠলেও সবার নজর কাড়ছে খাসি ও গাড়ল। এরমধ্যে একটি খাসির ওজন রয়েছে ৭২ কেজি ও গাড়লের ওজন রয়েছে ৭০ কেজি।

খাসি নিয়ে প্রদর্শনীতে আসা পৌর শহরের দুর্গাপুর এলাকার মো: গোলাম মাওলা বলেন, তিনি গত দুই দিন আগে খবর পেয়েছেন এখানে পশু মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তাই শখের বসে ঘরে পালন করা এই খাসিটি প্রদর্শন করতে মেলায় নিয়ে আসা হয় বলে জানায়। তার এই খাসির বয়স ২৩ মাস ৭ দিন। এর ওজন ৭২ কেজি। এটি হারিয়ানা প্রজাতির বলে জানায়। এই খাসিটিকে ছুলা বুট, গম,কাট বাদাম, কাজু বাদাম, ভুষি, চিটাগুড়,ঘাস লতা পাতা খাওয়ানো হয়। এটি লালন পালনে দৈনিক তার ৭০ টাকার খাবার লাগছে। ইতিমধ্যে অনেকেই এটি কেনার জন্য দরদাম করছেন। তিনি বলেন এ পযর্ন্ত ৫০ হাজার টাকার উপর দরদাম হচ্ছে । তবে ৬০ হাজার টাকার উপর হলে তিনি বিক্রি করবেন বলে জানান। তিনি বলেন সব সময় উন্নত জাতের খাসি লালন পালন করছেন বলে জানায়।

এদিকে গাড়ল নিয়ে এনেছেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিন গ্রামের মুতি মিয়া মেম্বারের ছেলে মো. মুরাদ মিয়া। এটির ওজন ৭০ কেজি। এই গাড়লটির বয়স মাত্র ১ বছর। সাথে প্রদর্শনীতে রয়েছে আরও ছোট আকৃতির ৬টি গাড়ল।

তিনি বলেন বেশ কয়েক বছর ধরে বানিজ্যিক ভাবে গাড়ল লালন পালন করছেন। তার খামারে ১২টি গাড়ল রয়েছে। এটি হচ্ছে সব চাইতে বড় গাড়ল। এটি দেশীয় খাবার খাই বলে জানায়। মেলায় ছাগলের ১০টি স্টলের মধ্যে এ দুটি স্টল সকলের নজর কাড়ছে। গাড়ল ও খাসি দেখতে সবাই ভিড় করছেন।

এদিকে প্রদর্শনীর সময় দেখা যায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ এলাকার আশপাশের গাছের ডালপালা লতাপাতা ছিঁড়ে নিজেদের যত্নে রাখা পশুগুলোকে খাওয়াচ্ছেন খামারিরা। খামারিদের জন্য কোন কিছু বরাদ্দ আছে কি না অনেকেই যেন তা জানে না।

একাধিক খামারি জানায়, এখানে যারা এসেছেন পশুদের খাবার তারা নিজেরাই নিয়ে আসতে হয়েছে। তবে প্রদর্শনীর বিষয়ে প্রচার প্রচারণা তেমন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন। প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের জানা শুনা খামারিদের আসার জন্য বলা হয়ে থাকে বলে দেখতে আসা অনেকে এ অভিযোগ করেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বলেন, এ প্রদর্শনীতে ২৪টি স্টল বসেছে। পূর্ব থেকেই প্রচার প্রচারনা করে খামারিদেরকে জানানো হয়েছে। প্রদর্শনীতে ইচ্ছুক অংশ গ্রহনকারী আবেদনকারীদের যাচাই বাচাই করে মেলায় অংশ নিতে দেওয়া হয়। তবে উপজেলায় অনেকেই বানিজ্যিক ভাবে পশু খামার গড়ে তুলেছেন। আমরা তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads