রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ঈদ কেনাকাটাও প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তবে ঈদের নতুন পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে সবাই পরবেন নতুন টুপি। পাশাপাশি অনেকেই ব্যবহার করবেন সুগন্ধি আতরও। কারণ টুপি মুসলমানদের একটি ধর্মীয় অনুসঙ্গত হওয়ায় তরুণদের পোশাকের সঙ্গে মানানসই চাই এই টুপি । তাই সর্ব শেষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সর্বত্র টুপি ও আতর কেনার ধুম পড়েছে। দোকানীরাও হরেক রকেমের টুপি নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। মার্কেটের পাশাপাশি ফুপপাতে ও চলছে টুপি আতর বেচাকেনা।
সরেজমিনে শহরের টুপি আতরের দোকানগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। কার আগে কে নেবে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। দোকান মালিকেরা দেশি বিদেশি রঙ ও ডিজাইনের টুপি এবং বিভিন্ন ফুল ও ফলের ফ্লেভার সমৃদ্ধ আতর বিক্রির জন্য তুলেছেন । ওইসব টুপি ও আতর দেখে ক্রেতারা ক্রয় করছেন। মার্কেটের পাশাপাশি ফুপপাতে বসা অস্থায়ী টুপির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। চলছে কেনা বেচা।
টুপি বিক্রেতা মো: কবির মিয়া বলেন, তারা দেশি বিদেশি বিভিন্ন দাম ও ডিজাইনের টুপি, আতর রয়েছে। ঈদ কেনাকাটার শেষ দিকে হওয়ায় এখন টুপি আতর লোকজন ক্রয় করছেন। তার এখানে টুপি ৩০ টাকা থেকে উপরে ৩শ টাকা দামের রয়েছে। পাশাপাশি আতর ৩০ টাকা থেকে ২শ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানী মো. মহসিন মিয়া জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচুর টুপির চাহিদা রয়েছে। এখানে ২০ টাকা থেকে ২শ টাকা পযর্ন্ত টুপি রয়েছে বলে জানায়। এ বছর টুপি বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তার দোকানে বিদেশি টুপির চেয়ে দেশিয় সুতি ও নেট টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে। আর আতরের মধ্যে রজনীগন্ধ্যা, বেলি. আতর বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা মো.আল-আমিন মিয়া বলেন, ছেলের জন্য শার্ট, পেন্ট ও পাঞ্জাবী কেনা হয়। এখন বাকী রয়েছে টুপি। তাই ১শ টাকা করে ২টি টুপি কেনা হয়েছে।
মো. সাব্বির হোসেন বলেন ইতিমধ্যে ঈদের সব কেনা কাটা শেষ হয়েছে। টুপি কেনা না হওয়ায় ছেলে ও নিজের জন্য ২টি টুপি ১শটাকায় কেনা হয়।