• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কুষ্টিয়ায় মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০২২

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী চার লেন মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানচলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে ভেড়ামারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এই ১০ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে আধা ঘন্টার স্থলে তিন ঘন্টা সময় লাগছে। মহাসড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় প্রতিদিনই যানবাহনগুলো দূঘর্টনার কবলে পড়ছে। চলছে চরম যানজট। যাত্রী বাহী পরিবহনগুলোতে যাত্রীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও সড়ক বিভাগের কোন মাথা ব্যথা নেই। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো সড়ক বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলেও সড়ক বিভাগের সড়ক মেরামতের তেমন কোন জড়ালো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা । ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুতকরণে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার কাজ চলছে। এর মধ্যে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার অংশে। এক পাশ বন্ধ রেখে অন্য পাশে গর্ত করে মহাসড়ক মজবুতের কাজ করায় কোনোমতে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের রানাখড়িয়া গোরস্থানের পাশে গভীর গর্ত করে বেজমেন্ট তৈরির কাজ করছে ঠিকাদারের লোকজন। মাটিতে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে গর্ত বেশি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেটের প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে বালু,পরে ইট-সুড়কি ও শেষে পাথরের লেয়ার তৈরি করে তার ওপর পিচঢালাই দেয়া হবে। এভাবে কাজ করলে মহাসড়ক টেকসই হবে। সড়ক মজবুত করতে গিয়ে গভীর গর্ত করে কাজ করায় এর এক প্রান্তে যানবাহন আটকে রেখে অন্য প্রান্তের যানবাহন ছাড়তে হচ্ছে। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ব্যস্ততম এ মহাসড়কে সারাক্ষণই যানজট লাগছে।

বাসচালক মাসুদ বলেন, ‘এখনই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে বাস নিয়ে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ট্রাকচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘বাইপাস থেকে ভেড়ামারা পর্যন্ত সড়কে কোথাও গর্ত হয়ে আছে, কোথাও লেনের মতো দাবা। এখানে স্টিয়ারিং ধরে রাখা কঠিন। একদিক থেকে টান দিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায়। যানজট তো আছেই। এই রোডে আসা মানে জীবন হাতে নিয়ে আসা। যাত্রী শাহানা খাতুন বলেন, গাড়িতে বসে ঝাঁকিতে ও গরমে জীবন কয়লা হয়ে যাচ্ছে। ৪০ মিনিটের রাস্তা পার হতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী আবদুল্লাহ বলেন, যানবাহনগুলো ডানে-বামে টলতে টলতে যাচ্ছে। কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা মুশকিল। কুষ্টিয়া জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুস্তানজিদ বলেন, মহাসড়কের পাশের সড়কগুলো সংস্কার করে তাতে ছোট ও মাঝারি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে মহাসড়কে চাপ কমবে। তিনি বলেন, কীভাবে জনভোগান্তি কমানো যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, বেজমেন্টে কয়েকটি স্তর রাখায় এ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ কাজের মেয়াদ আছে। তার আগেই শেষ করার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads