জুয়েল-সফুরাদের মতো যেখান থেকে অসংখ্য সাঁতারু উঠে আসে। যদিও ওদের সম্বল কেবল এলাকার পুকুর-খাল। বিনোদনের খোরাক জোগালেও ‘কুষ্টিয়া সুইমিং ক্লাব’টি সাঁতারুদের কোনো কাজে আসছে না। স্বপ্ন আর সাধ্যের মধ্যে ফারাক টেনেছে জেলা শহর থেকে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের দূরত্ব। জেলাবাসীর স্বপ্নের সুইমিং ক্লাবটি সাঁতারুদের কাজে না এলেও বিনোদন পিপাসীদের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়েছে। এখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সাঁতার শেখানোর বদলে চলছে গোসল, ঘণ্টায় নেওয়া হচ্ছে একশত টাকা। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত কুষ্টিয়া সুইমিং ক্লাবটি চালু রাখতে নির্মাণের পর থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিজ দেওয়া হচ্ছে। সুইমিং পুলটিতে নামমাত্র রাখা হয়েছে সুইমার প্রশিক্ষক। নেই কোনো সাঁতারু। নামেই শুধু জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুইমিংপুল। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে সাঁতার শেখানোর তেমন একটা ব্যবস্থা নেই এখানে। শুধু প্রতিবছর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা করে দায়িত্ব যেনো এখানেই শেষ করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার নন্দী বলেন, অবশ্যই কাজে আসছে এই সুইমিংপুলটি। সাঁতার শেখানোর বদলে গোসল করা হচ্ছে কথাটি সঠিক নয়, নিয়ম মেনেই সুইমিংপুলটি লিজ দেওয়া হয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সদস্যদের কাছে। মাসিক বিশহাজার টাকা লিজ বাবদ নেওয়া হয়। এর আগেও সুইমিংপুলটি এক ব্যবসায়ীর কাছে লিজ দেওয়া হয়েছিল। সারা দেশের সুইমিংপুল গুলো যেভাবে চলে। আমাদেরটাও সেভাবেই চলে।সূত্র মতে, জাতীয় ক্রীয়া পরিষদের অর্থায়নে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুষ্টিয়া জেলা ক্রীয়া সংস্থার সুইমিং পুলটি ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল।
এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাদাত-উল-আনাম পলাশ বলেন, কাজে আসছে না, এটি ঠিক নয়। তবে দেশের সবগুলো সুইমিংপুল বন্ধ হয়ে গেছে। এই সুইমিংপুলটি আমরা চালু রাখতে ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত ২২জন সদস্য এটি লিজ নিয়েছি। নির্মাণের পর থেকেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিজেই ছিল এটি।
