• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
পৈতৃক সম্পত্তির কারণে খুন হন সাংবাদিক প্রদীপ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

পৈতৃক সম্পত্তির কারণে খুন হন সাংবাদিক প্রদীপ

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জুন ২০২২

কলাপাড়ায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দের জেরে বড় ভাই সোহাগ হাওলাদার (৪২) খুন করেন স্থানীয় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপকে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর একথা জানিয়েছেন সোহাগ। গতকাল সোমবার তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে রোববার রাজধানীর উত্তরা থেকে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কলাপাড়া থানার ওসি জসিম জানান, সোহাগকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সোহাগ জানায়, তাদের পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে প্রদীপ ছিলেন সবচেয়ে ছোট। প্রদীপ বাড়িতে থাকতো এবং পৈতৃক সম্পত্তি দেখাশোনা করতো। পৈতৃক ভিটামাটি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে সোহাগের দীর্ঘ বিরোধ চলছিল। ৫ জুন সন্ধ্যায় সোহাগ আমতলী বাজারে এসে ৮০ টাকা দিকে একটি চাকু কেনেন। সন্ধ্যায় চাকুটি পেপার দিয়ে মুড়িয়ে প্যান্টের পিছনে রেখে বাড়িতে আসেন সোহাগ। রাতে বাড়ির জমিজমা নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে সোহাগের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ের তারা পুকুর পাড়ে চলে আসেন। এসময় সোহাগ সঙ্গে করে আনা চাকু দিয়ে প্রদীপের পেটের ডানপাশে এবং ডান হাতের কবজির ওপরে আঘাত করে পুকুরে ফেলে দেন। পরে প্রদীপের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সোহাগ সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ প্রদীপের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৬ জুন নিহত প্রদীপের স্ত্রী সোগাহসহ নাম না জানা পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। আবু জাফর প্রদীপ ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কলাপাড়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads