• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সাগরে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সাগরে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০২২

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মেঘনা নদীতে নাব্যতা সংকট ও বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠায় রূপালী ইলিশের প্রাপ্যতা কমেছে। এখন আর বছর জুড়ে মেঘনায় জেলেদের বিচরণ থাকে না। বেকার না থেকে অনেক জেলে জুলাই মাসে চলে যান সাগরে ইলিশ আহরণ করতে। মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলার শত শত জেলে সাগরে মাছ ধরার জন্য জাল প্রস্তুত করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা নোয়াখারী হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

সম্প্রতি সময়ে সদর দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার জেলে পল্লী এলাকায় গিয়ে জেলেদেরকে জাল প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। একই ধরণের প্রস্তুতি আনন্দ বাজার এলাকার জেলেদের। টানা তিন মাস সাগরে ইলিশ আহরণ করবেন জানালেন জেলেরা।

চাঁদপুর সদরের সীমান্তবর্তী এলাকা আখনের হাট মেঘনা পাড়ে জাল মেরামত করছেন প্রায় ২০-২৫ জন জেলে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় ইলিশ পাওয়া যায় কিনা। বললেন-আমরা পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ আহরণ করিনা। সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের জেলে হাসান চৌকিদার বলেন, আমাদের এখানে ৮টি ফিসিং ট্রলার আছে। প্রত্যেক ট্রলারে কমপক্ষে ১৩-১৪জন জেলে থাকে। এসব ফিসিং ট্রলারের মহাজন হচ্ছে হরিণা ফেরিঘাট এলাকার মোজাম্মেল হোসেন টিটু গাজী। আগামী সপ্তাহে সাগরে ইলিশ ধরার জন্য রওয়ানা হব। গত কয়েকদিন জাল মেরামতের কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, গতবছর সাগরে গিয়ে কাঙ্খিত পরিমান ইলিশ পাইনি। ৩ মাসে খাওয়া খরচ শেষে পেয়েছি মাত্র ৮ হাজার টাকা। এবছর এখন পর্যন্ত সাগরের অবস্থা ভালো। ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা।

একই এলাকার জেলে জুয়েল মাঝি, মনির ও ইয়াছিন গাজী বলেন, সাগরে মাছ আহরণ করতে গেলে প্রতি একমাস পর পর বাড়ীতে আসা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে সাগর এলাকার কূলে আশ্রয় নিতে হয়। আর আহরণকৃত ইলিশগুলো মহাজনের অতিরিক্ত ট্রলার করে চাঁদপুর মাছঘাটে নিয়ে আসে।

আখনের হাট এলাকার জেলে সুলতান হাওলাদার, সুমন হোসেন ও হানিফ গাজী একই ফিসিং ট্রলারে কাজ করেন। এর মধ্যে অভিজ্ঞ জেলে হানিফ গাজী। তিনি বলেন, আমরা নদী ভাঙনের শিকার। ৩ বার আমাদের বাড়ী ঘর ও ফসলি জমি মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। মাছ আহরণই আমাদের একমাত্র পেশা। বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়ে থাকি।

তিনি আরো বলেন, সাগরে ইলিশ আহরণে অনেকটা ঝুঁকি আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। কি আর করা মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে ইলিশ আহরণ করতে হয়। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। গত ২৫ বছর সাগরে ইলিশ আহরণ করি। এখন আর ভয় পাইনা।

হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা উপকূলীয় এলাকার অনেক জেলেই সাগরে মাছ আহরণ করতে যায়। বিশেষ করে জুলাই মাস থেকে শুরু করে কয়েকমাস সাগরে মাছের আমদানি বেশী থেকে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এসব জেলেদের প্রকৃত সংখ্যা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই বাড়ে কমে। তথ্য নিয়ে আনুমানিক বলা যাবে। তবে তাদের মাছ ধরার ট্রলার গুলো একটু ভিন্ন ধরণের।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads