• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
মির্জাপুরে শত্রুতার জেরে মাদরাসা ছাত্রকে খুনের অভিযোগ

নিহত মাদরাসা ছাত্র সিফাত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মির্জাপুরে শত্রুতার জেরে মাদরাসা ছাত্রকে খুনের অভিযোগ

  • মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ আগস্ট ২০২২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক মাদরাসা ছাত্রকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর গলায় বেল্ট পেচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পায়ু পথে গাছ ঢুকিয়ে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে সিফাত মিয়া (১৩)। সিফাত স্থানীয় একটি মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে হাফেজি বিভাগে অধ্যয়নরত ছিল।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাঝিপাড়ার একটি ক্ষেত থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্বারকারী এস.আই মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, নিহতের শরীরে বেশ কিছু শারীরিক আঘাত ও নৃশসংসতার আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিফাতের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একাধিক ঘাতক জড়িত।

এদিকে সিফাতের সহপাঠী বন্ধু নুরুল আমিন বলেন, সন্ধ্যায় সিফাতের সাথে সে বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খেতে যায়। চটপটি খাওয়া অবস্থায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ বয়সী লোক কানে কানে সিফাতকে কিছু একটা বলার পর সিফাত তার বন্ধুকে বসতে বলে পশ্চিমদিকে রেলক্রসিং বরাবর চলে যায়। এরপর বেশ লম্বা সময় অতিবাহিত হলেও সিফাত ফিরে না আসায় সে বাড়ি ফিরে যায়।

অপরদিকে, সিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রতিবেশী একটি ছেলে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া। তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগে আমার ছেলেকে গোসল করতে গিয়ে মারপিট করার ঘটনায় ওই ছেলেকে স্থানীয় মাতাব্বররা শালিসে জুতা পেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ওই ছেলে আত্মগোপনে চলে গেছে জানিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এইহত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads