• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
সেমিফাইনালে বাংলার যুবারা

হংকংকে হারিয়ে উল্লসিত বাংলাদেশের যুবারা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্রিকেট

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

সেমিফাইনালে বাংলার যুবারা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৮

ঘরের মাঠ, পরিচিত পরিবেশ। তার সঙ্গে স্বাগতিকের চাপও ছিল। শুরুটা এলোমেলো লঙ্কানদের কাছে হেরে। তখনই শঙ্কাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় না ঘটে বাংলাদেশের। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে দাপুটে জয়ে সব হতাশা দূর, নতুন স্বপ্নের জাগরণ। সেমিতে যাওয়ার জন্য দুটি সমীকরণ ছিল বাংলাদেশের সামনে। প্রথমত, শেষ ম্যাচে হারাতে হবে হংকংকে। দ্বিতীয়ত, শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে পাকিস্তানকে। প্রথম সমীকরণ মিলেছে সহজভাবেই। গতকাল হংকংকে উড়িয়ে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের পরও দ্বিতীয় সমীকরণ মেলানোর জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়েছে গ্রুপের অপর ম্যাচ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার দিকে। শেষ পর্যন্ত ভক্তদের কামনা বিফলে যায়নি। পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই সমীকরণ মিলে যাওয়ায় ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে টুর্নামেন্টের সেমিতে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতে গেলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পয়েন্ট হতো সমান ৪। রান রেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চারে তখন নাম লেখাত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের হারই বলতে গেলে বাংলাদেশকে উঠিয়ে দিল শেষ চারে।

অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে আফগানদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। হেরেও ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ আফগানিস্তান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিতে একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।

গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি হংকং। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে হংকং গুটিয়ে যায় ৪৬.৫ ওভারে মাত্র ৯১ রানে। জবাবে বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ১১.২ ওভারে। তবে উইকেট খোয়াতে হয়েছে ৫টি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি হংকং। গড়ে তুলতে পারেনি তেমন কোনো জুটি। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন শুধু চারজন। সর্বোচ্চ ১৬ রান করে আসে কালাহান চালু ও অদিত গোরাওয়ারার ব্যাট থেকে। ১১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দুটি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় ও রকিবুল হাসান।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও চাপে পড়ে গিয়েছিল। ৫ ওভারে ৩০ রানে হারায় ৪ উইকেট। তবে আকবরের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান মাহমুদুল। ২০ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শরিফুল ইসলাম। হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন নাসরুল্লাহ রানা। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন।

‘বি’ গ্রুপের অপর ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২০০ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের আরশাদ ইকবাল নেন ৬ উইকেট। জবাবে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহ করতে পারে ৮ উইকেটে ১৭৭ রান। হারলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পান পাকিস্তানের আরশাদ ইকবাল। ৬ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ২৬ রানে ছিলেন অপরাজিত। তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ বাংলাদেশ।

অন্যদিকে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫১ রানে হারায় ভারত। ২২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। গ্রুপের অপর ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। তারপরও লড়াই হয়েছে বেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads