• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

সিরিজ জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের উল্লাস

ছবি : ইন্টারনেট

ক্রিকেট

সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

লুইস ঝড়ে প্রকম্পিত মিরপুর। চার-ছক্কায় মুখরিত গ্যালারি। শ্রীহীন বোলিংয়ে দিশেহারা তখন বাংলাদেশ। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামানো গেল দুশোর নিচে। জবাবে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই হলো বাংলাদেশের। কিন্তু এক প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং সব ছন্দ যেন নষ্ট করে দিল। ক্যারিবীয়দের অভিশাপই লাগল কি না, কে জানে। তারপর থেকে দ্রুত উইকেট পতন স্বাগতিকদের। শেষটা অনুমিতভাবে হার দিয়ে। মিরপুরে গতকাল তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ করায়ত্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-১ ব্যবধানে।

টেস্টে ২-০তে হোয়াইটওয়াশ। ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে হার। বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাই তেতে উঠল যেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে। সিলেটে প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হার। তৃতীয়টিতে ব্যাট-বলের সমান পারদর্শিতায় উজ্জ্বল ক্যারিবীয় শিবির। বাংলাদেশের জন্য বিষাদের। হার দিয়ে বছর শেষ সাকিব বাহিনীর।

টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করানোর সিদ্ধান্ত সাকিবের ভালোই ছিল। কিন্তু ক্যারিবীয় দুই ওপেনার মিরপুরে টর্নেডো বইয়ে দেবে, তা হয়তো ভাবেননি তিনি। ১৮ বলে ফিফটি করা এভিন লুইস সেঞ্চুরি করতে পারেননি বটে, তবে তার ব্যাটেই উইন্ডিজ পায় বড় স্কোর। ৮৯ রান করেছেন মাত্র ৩৬ বলে। যেখানে চারের (৬) চেয়ে ছক্কাই (৮) বেশি। শাই হোপও ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাকিব ফেরান তাকে। ১২ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৩ রানে ফেরেন হোপ। মিডল অর্ডারে পুরানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৯ রান। ১৯.২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ১৯০ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সাকিব, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহ।

১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশাজাগানিয়া ছিল বাংলাদেশের। ভালো খেলতে থাকা তামিম হঠাৎই রান আউট (৬ বলে ৮ রান)। কিন্তু এই আউটের প্রভাব দলের ওপর পড়তে দেননি লিটন। সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে করছিলেন স্বভাবজাত ব্যাটিং। রান আসছিল তরতরিয়ে। কিন্তু আম্পায়ারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর সব যেন পাল্টে যায়। ঘটনা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে। ওশানে টমাসের বলে লং অফে ক্যাচ দেন লিটন। কিন্তু বাংলাদেশের আম্পায়ার তানভীর আহমেদ দিলেন নো বল। রিভিউ চাইলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্রাফেট। এ নিয়ে সময় ক্ষেপণও হলো। কথা হলো চতুর্থ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে। আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলাননি। তবে রিপ্লেতে যা দেখা গেছে, তা মোটেও নো বল নয়। ওশানের পা দাগ অতিক্রম করতে পারেনি।

পুনরায় খেলা শুরু হলে পরপর দুই বলে সৌম্য (৯) ও সাকিবের (০) উইকেট নিয়ে তার বদলাই যেন নিলেন অ্যালেন। পরের ওভারে নেই মুশফিক (১)। পথহারা বাংলাদেশ। এখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ৮৯ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। তার ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ ইনিংস। ২৫ বলে করেন ৪৩। তার ইনিংসে ছিল সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ (১১) ও মিরাজ (১৯) ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন। তবে জয়ের আশা নিভু নিভু অনেক আগে থেকেই। শেষের দিকে আবু হায়দার রনি ১৭ বলে ২২ রান করে কার্যত হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। সাত বলে এক ছক্কায় ৮ রান মোস্তাফিজের। ১৭ ওভারে অলআউট বাংলাদেশ ১৪০ রানে।

১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং কিমো পলের। ব্যাটে ৮৯ রানের ঝড় তোলা এভিন লুইস পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে সিরিজসেরার ট্রফিটা ঠিকই পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads