• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীলঙ্কায় ধরাশায়ী ইংল্যান্ড

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

শ্রীলঙ্কায় ধরাশায়ী ইংল্যান্ড

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২২ জুন ২০১৯

এক দল শিরোপার অন্যতম দাবিদার, অন্য দল বিশ্বকাপে এসেছে জোড়াতালি লাগিয়ে। সামর্থ্যের দিক থেকে দুই দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কিন্তু মাঠের খেলায় বড় চমকই দেখা গেল। নড়বড়ে শ্রীলঙ্কার কাছে ধরাশায়ী হলো ফর্মের তুঙ্গে থাকা স্বাগতিক ইংল্যান্ড। লিডসের হেডিংলিতে গতকাল ইংলিশদের ২০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে বড় চমকই দেখিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।

লো স্কোরিং ম্যাচ। তাতেই মিশে থাকল রাজ্যের রোমাঞ্চ। দেখা মিলল মালিঙ্গার পেস দাপট। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের আহাজারি। সত্যিই মনোমুগ্ধকর একটি ম্যাচই দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৩২ রান। জবাবে ৪৭ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসে সেমির স্বপ্ন জিইয়ে রাখল করুনারত্নে শিবির। বাংলাদেশ নেমে গেছে ষষ্ঠ স্থানে। তবে শ্রীলঙ্কার এই জয়ে সুবিধা হয়েছে বাংলাদেশেরও।

জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৩৩ রান। এমন লক্ষ্য আহামরি ছিল না ইংল্যান্ডের জন্য। কিন্তু এক মালিঙ্গাই সব পার্থক্য গড়ে দেন। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে আউট করেন মালিঙ্গা। তাতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। তারপরও জয়ের আশা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। কিন্তু অপর প্রান্তে তখন লেজের সারির ব্যাটসম্যানরা ছিল নড়বড়ে। তারা পারেননি উইকেট ধরে রাখতে। আর তাই ইংল্যান্ড যখন তিন ওভার বাকি থাকতে অলআউট, তখনো ৮২ রানে অপরাজিত স্টোকস। সঙ্গীর অভাবে পারেননি দলের মুখে হাসি  ফোটাতে। ইংল্যান্ডের হয়ে এছাড়া উল্লেখযোগ্য রান এসেছে জো রুটের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫৭ রান। অধিনায়ক মরগ্যান করেন ২১। বাকিদের রান ছিল ২০-এর নিচে।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক লাসিথ মালিঙ্গাই। ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তুলে নেন সর্বোচ্চ চার উইকেট। অনুমিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। এছাড়া জয়ের আংশিক ভাগিদার স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৮ ওভারে ৩২ রানে তিনি নেন তিন উইকেট। উদানা দুটি ও প্রদীপ নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে (১) ও কুসল পেরেরা (২)। মার্ক উডের বাউন্সারে আপারকাট করে থার্ড ম্যানে ধরা পড়ে শেষ হয় ওয়ান ডাউনে নামা ফার্নান্দোর (৪৯) পথচলা। এক রানের জন্য করতে পারেননি ফিফটি। তার বিদায়ের পর কমে রানের গতি। সাবধানি ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকেন কুসল মেন্ডিস ও ম্যাথিউস।

কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ৭১ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। পরের বলে ফিরিয়ে দেন দলে ফেরা অজন্তা মেন্ডিসকে। পরপর দুই বলে উইকেট হারিয়ে আরো সাবধানি হয় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসে তাদের সবচেয়ে মন্থর ফিফটি আসে এর পরই।

ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁতে ৭৩ বলে খেলেন ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বোলিংয়ে ফিরে ডি সিলভাকে ফিরিয়ে ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন আর্চার। জ্বলে ওঠার আগেই থিসারা পেরেরাকেও বিদায় করেন তিনি। ইসরু উদানাকে ফেরানোর পর দারুণ এক ইয়র্কারে লাসিথ মালিঙ্গাকে বোল্ড করে দেন উড। ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। আর্চার ৫২ রানে নেন ৩ উইকেট।

শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ২৩২ পর্যন্ত যায় ম্যাথিউসের বদান্যতায়। ৮৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। তার ১১৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও এক ছক্কা। ৪৭ বলে ২৯ রান করেন ডি সিলভা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads