• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
টেস্ট লড়াইয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

টেস্ট লড়াইয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ যত টেস্ট ম্যাচ খেলেছে, তার সবগুলোতেই হেরেছে। তবে ২০০৩ সালের মুলতান টেস্ট ম্যাচটিতে বাংলাদেশ প্রতারণার শিকার না হলে ইতিহাস অন্য রকম হতো। টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের মাত্র আড়াই বছরের মাথায় ওই ম্যাচে জিতে গেলে, সেটা বাংলাদেশকে দ্রুত সামনের পথে নিয়ে যেত। নানামুখী প্রতারণার কারণে না জিতলেও সেই টেস্ট ম্যাচটিই এবারের সিরিজে বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা। পাকিস্তানের মাটিতে আপাতত প্রথম টেস্টে ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে মুমিনুলরা। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে।

তিন দফার প্রথম দফার সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চার্টার্ড ফ্লাইটে (ভাড়া করা বিমানে) পাকিস্তানে গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এবার আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনো বিশেষ ব্যবস্থা রাখেনি ক্রিকেটারদের জন্য। তাই কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে পাকিস্তানে উড়ে গেছেন মুমিনুল বাহিনী। গত বুধবার সকালে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ওইদিন বিশ্রাম নেন খেলোয়াড়রা। শুধু গতকাল বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সুযোগ পান খেলোয়াড়রা। আর এভাবেই রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা সাদা পোশাকের লড়াইয়ে মোকাবেলা করতে নামবে স্বাগতিক ও শক্তিশালী পাকিস্তানের।

১৬ বছরেরও বেশি সময় পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে গেল বাংলাদেশ দল। সেখানে এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচের সব কটিতেই হেরেছে তারা। তবে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে সবশেষ টেস্টে জয়ের প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়েও বাংলাদেশ ১ উইকেটে হেরে যায়। বলা যায়, বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের পরাজয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন পাকিস্তানি উইকেটকিপার ‘ক্যাচজোচ্চুর’ রশিদ লতিফ এবং শ্রীলঙ্কান বর্ণবাদী আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভা। রশিদ লতিফ বাংলাদেশের অলক কাপালীর ব্যাটিংয়ের সময় তার তুলে দেওয়া ক্যাচ মাটি থেকে বল তুলে নিয়ে আউটের আবেদন জানান। অশোকা সে আবেদনে সারা দেন। অথচ টিভি স্ক্রিনে স্পষ্ট দেখা গেছে, বলটি মাটি থেকেই তুলে নেন রশিদ লতিফ। আর অশোকা ও অপর আম্পায়ার পুরো টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অসংখ্য ভুল কল দেন। 

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত মাসের শেষদিকে প্রথমবার পাকিস্তান গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেবার ব্যর্থ সিরিজে বলার মতো কিছুই পায়নি বাংলাদেশ দল। হেরেছে দুই টি-টোয়েন্টিতেই। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

পাকিস্তান গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রথম টেস্টের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির নিমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সবশেষ ২০০৩ সালে খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছিল। টেস্ট ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল করাচি, পেশোয়ার ও মুলতানে। এবার বাংলাদেশ দুটি টেস্ট খেলবে। দ্বিতীয় টেস্ট করাচিতে শুরু হবে ৫ এপ্রিল। দুই টেস্টের মাঝে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ৩ এপ্রিল। সবার আগে তিনটি টি-টোয়েন্টির মধ্যে প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ ও ৯ উইকেটের ব্যবধানে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশ এবার টেস্টে ভালো করবে, সে আশা সবার। যদিও বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের পর দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরে খুব বেশি এগোতে পারেনি। বাংলাদেশের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-সব বিভাগেই রয়েছে দুর্বলতা। তারপরও দৃঢ় মনোবল বজায় রাখতে পারলে ভালো ফল সম্ভব। 

বাংলাদেশ টেস্ট দল : তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।

পাকিস্তান টেস্ট দল : আজহার আলি (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, আবিদ আলি, বাবর আজম, বিলাল আসিফ, ফাহিম আশরাফ, ফাওয়াদ আলম, হারিস সোহেল, ইমাম উল হক, ইমরান খান, মোহাম্মাদ আব্বাস, মোহাম্মাদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি, শান মাসুদ ও ইয়াসির শাহ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads