• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভোটের পর উত্তাল এফডিসি, এমডির কুশপুতুল দাহ

সংগৃহীত ছবি

ঢালিউড

ভোটের পর উত্তাল এফডিসি, এমডির কুশপুতুল দাহ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০২২

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় এফডিসিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, কলাকুশলীদের ১৭টি সংগঠন।  রোববার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দপ্তরের সামনে নুজহাত ইয়াসমিনের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। এর আগে সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করে তার পদত্যাগের দাবি জানান প্রযোজক ও পরিচালকরা। গত শুক্রবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শিল্পী সমিতি বাদে বাকি ১৭ সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ঢুকতে না পেরে তখনই এফডিসির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান প্রযোজক, পরিচালকরা।

গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমডির পদত্যাগ চেয়ে কর্মসূচি ঘোষণার পর রোববার সকাল ৯টা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন ১৭টি সংগঠনের সদস্যরা।

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘আমাদের কর্মক্ষেত্রে আমাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমডির স্বেচ্ছাচারিতা ও একনায়কতন্ত্রের কারণে চলচ্চিত্রের কর্মীরা এফডিসিতে ঢুকতে পারেননি। তার প্রতিবাদে এই সমাবেশ থেকে পদত্যাগ দাবি করছি।’

পরিচালক এস এ হক অলিক সমাবেশে বলেন, ‘এফডিসি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার দ্বিতীয় ঘর। সেই ঘরে ঢুকতে পারবে না, এটা আমরা মানি না। একজন প্রযোজকের দ্বিতীয় ঘর এফডিসি। তারা প্রবেশ করতে পারে না, মানি না।’ প্রযোজক নেতা অলিমুল্লাহ খোকন, পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ আরো অনেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ‘এমডির অপসারণ চাই’ বলে স্লোগান দিয়েছেন চলচ্চিত্রকর্মীরা। পরবর্তী কর্মসূচি কি হতে যাচ্ছে, জানতে চাইলে পরিচালক নেতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘আমরা শুনেছি এফডিসির এমডি গত শনিবার রাতেই এফডিসিতে ঢুকেছেন! তিনি আর বের হননি। অফিসেই আছেন। আমরা তার ব্যাপারে নতুন কর্মসূচির কথা ভাবছি।’

পরে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলন নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০০ জনের বেশি লোক সমাগমে নিষেধ করা হয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে ১৭ সংগঠনের সদস্যদের পাস দেওয়ার অনুমতি এফডিসি দেয়নি। আমরা নির্বাচন কমিশনারকে বলেছিলাম, শুধু নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভোট করা যাবে। বাকিটা নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবে। পরে সংগঠনগুলোর তরফ থেকে একটা চিঠি পেয়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে যাদের এফডিসির পাস আছে তারা যেন নির্বাচনের দিন ঢুকতে পারেন। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের পাস আছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মানতে গেলে ওটা করার সুযোগ নেই। উনারা বলছেন, কিছু লোক আসতে পারতেন, তারা যদি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতেন তাহলে উনারা দুই প্যানেল এক সঙ্গে হয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পাস ইস্যু করতে পারতেন। সেখানে তো এফডিসির কিছু করার নেই। এখানে এমডির কোনো ভূমিকা নেই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads