• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
জনপ্রিয় ইকবালের সঙ্গে অপরিচিত ইকবালের ভোটের লড়াই

ইকবাল হোসেন সবুজ ও অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

গাজীপুর ৩ আসন

জনপ্রিয় ইকবালের সঙ্গে অপরিচিত ইকবালের ভোটের লড়াই

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি আছে। ইতোমধ্যে শ্রীপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের একটি পৌরসভা আর গাজীপুর সদরের তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাজীপুর ৩ সংসদীয় আসন দুই জোটের প্রার্থীই নিশ্চিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোট। তবে ভোটের উত্তাপ নেই নির্বাচনী এলাকায়। তৃণমূলে ভোটের হাওয়া বইছে মৃদু আকারে। এক সময়ের দাপুটে ছাত্রনেতা শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৃণমূলে অধিক জনপ্রিয় মহাজোট প্রার্থী (আ.লীগ) ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী সর্মথকরা নিয়মিত নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে।

চলছে মাইকিং, মিছিল মিটিং, পথসভা, গ্রাম্য বৈঠক। সংসদীয় আসনের সব এলাকার পাড়া মহল্লা জুড়েই রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগেই নির্বাচনী এলাকার মহল্লায় মহল্লায় উঠান বৈঠক করে বড় আকারের একটি নারী কর্মী বাহিনীও গড়ে তুলেছেন  ডাকসাইটে এ নেতা। তার রাজনৈতিক দর্শনে মুগ্ধ হয়ে অনেক নারী কর্মীরা প্রচারনায় নেমেছেন নিজ নিজ দায়িত্বে। মহাজোট প্রার্থীর নৌকা মার্কার পোস্টার সেটেছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অলিগলিতে। বেশ কয়েকদিন একপেশী প্রচারণা তুঙ্গে হলেও বিপরীত চিত্র ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর ক্ষেত্রে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী (কৃষক শ্রমিক জনতালীগ) অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দকী নেতা কর্মীদের নিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন। নেতা কর্মীরাও ভয়ে খুব বেশি প্রচারণায় নামছেন না। এর আগেও ২০০৮ সালে এ আসনে গামছা মার্কায় নির্বাচন করেছেন তিনি। সে সময় অল্প ভোট পেয়েছিলেন অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী। এ আসনটি বরাবরই আ.লীগের দূর্গ। এ দূর্গে অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী অপরিচিত প্রার্থী ভোটারের কাছে। তবে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে সমন্বয় করছেন ইকবাল সিদ্দিকী। বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট রয়েছে প্রার্থী বাছাইয়ে। সবারই অভিযোগ মহাজোটের জনপ্রিয় প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের সাথে ভোটের লড়াইয়ে অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী ভোটারদের কাছে খুবই অপরিচিত প্রার্থী ।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন এ আসনে বিএনপির অনেক জনপ্রিয় প্রার্থী ছিল। বিএনপি থেকে জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই করলে এ নির্বাচনে অনেক বেশি নির্বাচনী উত্তার ছড়ানো যেত ভোটারদের কাছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অপরিচিত হওয়াই তৃণমূল ভোটাররা ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। অনেক নেতা কর্মীরা প্রচারণায় নামছে না। তারা অভিযোগ করে বলেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী খুব একটা সম্বনয় রক্ষা করছেন না। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও নেই কোনো উল্লেখযোগ্য প্রচারণা। এখনো অনেক ব্যস্ততম এলাকাতেও ধানের শীষের পোস্টার লাগানো হয়নি। ভোটারদের কাছে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার কোনো প্রচারণাও চোখে পড়ে না।

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, পুরো নির্বাচনী এলাকায় আমরা নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় করছি। ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা চালাচ্ছি বিভিন্ন এলাকায়। গ্রেফতার আতঙ্ক থাকায় অনেক নেতা কর্মীরা মাঠে নামছে না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে ভোটারদের কাছে গিয়ে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাইবো। ভোটারাও আমাদের ধানের শীষে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচণের মাঠ থেকে সরে যেতে আমাদের নেতা কর্মীদের বিনা মামলায় গ্রেফতার করছে পুলিশ। মানুষ বাধাহীন ভাবে ভোট দিতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষে ভোটের বিপ্লব ঘটবে। সরকারের জুলুমের জবাব আসবে ৩০ তারিখের ভোট উৎসবে।

মহাজোট প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, নির্বাচিত হলে শ্রীপুরকে তিনি আধুনিক উপশহর হিসাবে গড়ে তুলবেন। চাঁদাবাজ, মাদক মুক্ত করাসহ এই উপজেলার সকল শ্রমিকের যথা সময়ে বেতন  নিশ্চিত করা হবে।  মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads