• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

সংবাপত্রের সেকাল-একাল

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০২১

সপ্তম বছরে পা দিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা বাংলাদেশের খবর। একটি দৈনিক পত্রিকার বয়স হিসেবে ছয় বছর বড় কোনো ব্যাপার নয়। সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়নের জন্যও তা যথেষ্ট সময় নয়। কেননা একটি দৈনিক পত্রিকাকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ। সে পথ অবশ্যই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। অনেক চড়াই-উতরাই, বাধাবিঘ্ন থাকে সে পথে। সে সব বাধাবিঘ্নকে অতিক্রম করেই তাকে এগিয়ে যেতে হয়। যে পত্রিকা সব রকম বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে আপন লক্ষ্যে অবিচল থেকে পথ চলতে পারে, তারাই স্পর্শ করতে পারে সাফল্যের সূর্যকে। বাংলাদেশের খবরও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে শিশুসম এ পত্রিকাটি গত ছয় বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। একদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন থেকেছে, অন্যদিকে ধর্মীয় মৌলবাদ এবং সামাজিক সব ধরনের অনাচারের বিরুদ্ধে থেকেছে সোচ্চার। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের খবরের রয়েছে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার। সে অঙ্গীকার রক্ষায় পত্রিকাটি অবিচল থেকে সামনের দিনগুলোতেও দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাবে, এমনটাই আমরা বিশ্বাস করি। 

পত্রিকা একা চলতে পারে না। একটি পত্রিকা মানে একটি টিম। সেখানে একেকজন একেক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চব্বিশ ঘণ্টা পর পর সাদা নিউজপ্রিন্ট কালো অক্ষরসংবলিত খবরের কাগজ হয়ে পাঠকের সামনে হাজির হয় প্রতিদিন সকালে। তাই আমার মনে হয় পত্রিকা সম্বন্ধে লিখতে গেলে একবচন ব্যবহার না করে বহুবচন ব্যবহার করাই শ্রেয়। প্রকাশক, সম্পাদক থেকে শুরু করে অফিসের পিয়নটির পর্যন্ত ভূমিকা রয়েছে প্রতিদিন সকালে পাঠকের হাতে পৌঁছে যাওয়া পত্রিকাটির সৃষ্টির পেছনে। পাঠক কিন্তু জানেন না, সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে তিনি যে পত্রিকাটির পাতায় চোখ বোলাচ্ছেন, খবর পাঠে কখনো পুলকিত, উচ্ছ্বসিত কিংবা বিস্মিত হচ্ছেন, সেটি তার হাতে পৌঁছতে কতগুলো মানুষের শ্রম ও মেধা ব্যয় হয়েছে।

একসময় সংবাদপত্রই ছিল খবরের প্রধান বাহন। এখন তো টিভি চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি মানুষ মুহূর্তেই জেনে যেতে পারে। আগে সে রকম ছিল না। ছোটবেলায় দেখেছি দৈনিক পত্রিকাগুলোর মাস্টহেডের নিচে ডেটলাইন থাকত দুটো। একটি ঢাকা বা যে শহর থেকে প্রকাশিত হয় সেখানকার তারিখ, আরেকটি তারিখ থাকত মফস্বলের জন্য। উদাহরণ—যেমন ‘ঢাকা : ১০ সেপ্টেম্বর, মফস্বল : ১১ সেপ্টেম্বর’। অর্থাৎ ঢাকায় আজ যে পত্রিকাটি বেরিয়েছে, মফস্বলে তা পরদিনের পত্রিকা বলে গণ্য হবে। এ ব্যবস্থা আমার দেখা মতে স্বাধীনতার পূর্বকাল হতে আশির দশকের প্রথমভাগ পর্যন্ত বহাল ছিল। শুধু ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে দৈনিক পত্রিকা দিনেরটা দিনেই যেত। প্রত্যন্ত এলাকাসহ বাকি জায়গায় পত্রিকা যেত পরদিন। আমি যখন কলেজছাত্র, তখন থেকেই নিয়মিত দৈনিক পত্রিকার গ্রাহক। পত্রিকার দাম ছিল পঞ্চাশ পয়সা। টিফিনের পয়সা থেকে প্রতি মাসের পত্রিকার বিল পনেরো টাকা জমাতাম। আমাদের এলাকা ঢাকার খুব কাছেই, বিক্রমপুরের শ্রীনগরে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। লঞ্চই ছিল একমাত্র বাহন। সময় লাগত পাঁচ ঘণ্টা। এখন যারা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওেয়েতে আশি কিলোমিটার বেগে গাড়ি হাঁকিয়ে মতিঝিল ফ্লাইওভার থেকে ত্রিশ মিনিটে মাওয়ায় পৌঁছে যান, তারা সে বিরক্তিকর  লঞ্চ জার্নির কথা ভাবতেও পারবেন না। যা হোক, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। তো আমাদের ওখানে পত্রিকা পৌঁছত দুপুরের পরে। কলেজের ক্লাস শেষে কোনো কোনো দিন পত্রিকার জন্য ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করতে হতো। এতসব অসুবিধা সত্ত্বেও জনসংখ্যা ও শিক্ষার হারের তুলনায় পত্রিকার পাঠক কম ছিল না। সে তুলনায় এখন পত্রিকা পাঠকের হার কম এটা অস্বীকার করা যাবে না। মানুষ এবং পত্রিকার সংখ্যা হুহু করে বাড়লেও পাঠকসংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। মানুষ এখন ভীষণ ব্যস্ত। যন্ত্রের মতো। ঘণ্টাখানেক ব্যয় করে একটি পত্রিকা পড়ার সময় তাদের কোথায়! মোবাইল ফোনে অনলাইন নিউজ দেখেই খবরের খিদে মেটায়। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, কাগজে ছাপা পত্রিকা পাঠে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে পড়ে তা পাওয়া যায় না। অনেকে আশঙ্কা করে থাকেন, অনলাইনের ক্রমাগত প্রসারের কারণে প্রিন্টেড পত্রিকা একসময় হারিয়ে যাবে। আমি এ ধারণার সাথে দ্বিমত পোষণ করি। আমি মনে করি, পাঠকরাই প্রিন্টেড পত্রিকাকে টিকিয়ে রাখবে। কেননা পাঠকই হলো একটি পত্রিকার প্রাণশক্তি।

একসময় পত্রিকা প্রকাশ ছিল দুরূহ কাজ। সাংবাদিকরা নিউজপ্রিন্টের প্যাডে রিপোর্ট, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় লিখতেন, সিসার টাইপ একটির পর একটি করে সাজিয়ে কম্পোজিটররা তা কম্পোজ করতেন, তারপর প্রুফ দেখা হতো, সম্পাদনা হতো, তারপর  মেকআপ এবং সবশেষে ছাপা। সবই করা হতো হাতে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফটোকম্পোজের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে। তারপর আসে কম্পিউটার কম্পোজের প্রযুক্তি। হাতে কম্পোজের আমলে পত্রিকার কাজ শেষ হতে হতে কখনো কখনো রাত ভোর হয়ে যেত। সিনিয়রদের কাছে সে বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। কাজ শেষ করে কোনো কোনো দিন অনেকের বাড়ি যাওয়া হতো না। রাইটিং বা এডিটিং টেবিলে পুরোনো পত্রিকার বান্ডিলকে বালিশ বানিয়ে তারা রাত কাটিয়ে দিতেন। তারপরও একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশে নিজের অংশীদারিত্বের কথা ভেবে তারা আত্মতৃপ্তি লাভ করতেন। এখন সবকিছু হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। কম্পিউটারে বোতাম টিপে যেমন কম্পোজ করা হয়, একই পদ্ধতিতে মেকআপও করা হয়। এখন আর ট্রেসিং পেপার কেটে  টেবিলে সেলোফেন পেপার বসিয়ে মেকআপ করতে হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির গুণে কম্পিউটারে মেকআপ শেষ করে একবারে সরাসরি প্লেট তৈরি করে মেশিনে উঠিয়ে দেওয়া যায়। আগে দৈনিক পত্রিকার একটি সংস্করণ বের করতেই রাত গভীর হয়ে যেত। এখন রাত নয়টার মধ্যে অধিকাংশ পত্রিকার প্রথম সংস্করণ বের হয়ে মফস্বলের মেইল ধরে। জরুরি প্রয়োজনে পত্রিকাগুলো একাধিক সংস্করণ বের করে থাকে।

আজ থেকে অর্ধশতাব্দী আগে সংবাদপত্র প্রকাশ করা যেমন ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য ছিল, তেমনি সাংবাদিকদের জীবিকা নির্বাহ করাও ছিল কঠিন। প্রবীণদের মুখে শুনেছি, সে সময় সাংবাদিক শুনলে ঢাকার বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া দিতে চাইতেন না। এমনকি বিয়ের পাত্রের পেশা যদি হতো সংবাদিকতা, তাহলে কনেপক্ষ মুখ বেঁকিয়ে তাচ্ছিল্যসহকারে বিদায় করে দিতেন ঘটককে। কেননা তারা মনে করতেন সাংবাদিক মানেই  চালচুলোহীন ছন্নছাড়াগোছের মানুষ; যাদের পরনে থাকবে আধ-ময়লা খদ্দরের পাঞ্জাবি, আর কাঁধে ঝোলানো থাকবে একটি ব্যাগ। এদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া মানে মেয়েকে দারিদ্র্যের সমুদ্রে নিক্ষেপ করা। এ ধারণা সৃষ্টির কারণও ছিল। তখন সাংবাদিকদের কাজ করতে হতো স্বল্প বেতনে, সে বেতন আবার মাসের পর মাস বাকি পড়ে থাকত। তারপরও সে সময় সাংবাদিকরা পেশার প্রতি কমিটেড থেকে মুখ গুঁজে কাজ করে গেছেন। পেশাকে ভালোবেসে অর্থকষ্টকে পায়ের ভৃত্য বানিয়ে মানুষকে সঠিক তথ্যটি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

আজ সময় বদলেছে। সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বেতন বোর্ড আছে। সচল প্রায় সব পত্রিকাকেই সরকারি সে বেতন-রীতি পালন করতে হয়। এই বেতন বোর্ড আদায়ের জন্য সাংবাদিকদের দীর্ঘদিন আন্দোলন করতে হয়েছে। সে সময় সাংবাদিকদের সংগঠন ছিল ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। একজন সাংবাদিককে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া চাকরিচ্যুত করলে সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রতিবাদী হয়ে উঠত। মালিকপক্ষ নতি স্বীকার করতে বাধ্য হতো সাংবাদিকদের দাবির কাছে। এটা সম্ভব হতো সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধতার কারণে। যতদিন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ ছিল, ততদিন  মালিকপক্ষ ও সরকার তাদের সমীহ করত। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিবর্তে রাজনৈতিক মতাদর্শকে ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়ায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো দ্বিধাবিভক্ত। মালিকপক্ষ কিংবা সরকারের কোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো আর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এখন সাংবাদিক ইউনিয়ন শুধু নয়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনও হয় রাজনৈতিক মতাদর্শগত প্যানেলভিত্তিক। সাংবাদিকতায় রাজনীতির অনুপ্রবেশ এ মহান পেশাটির যে কত বড় ক্ষতি করেছে, তা সংশ্লিষ্টরা অনুভব করতে পারছেন বলে মনে হয়।

সংবাদপত্রের ওপর সরকারি দমননীতি সব সময়ই ছিল। কখনো দৃশ্যমান কখনো অদৃশ্য। স্বাধীনতা-পূর্বকালে এই নিপীড়ন কখনো কখনো মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। সরকারের কোপানলে পড়ে বহু সংবাদপত্র বন্ধ হয়েছে, নিষিদ্ধ হয়েছে, সাংবাদিক-সম্পাদকরা জেলে খেটেছেন। সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতার স্বাধীনতার জন্য তখন থেকে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছে, আজো তা অব্যাহত আছে। এখনো বিভিন্ন কারণে সাংবাদিকরা নানা ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হন। অধুনা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অপব্যবহারে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে কারাভোগ করতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই কালো ধারা বাতিলের দাবি জানানো অব্যাহত থাকলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। এর কারণটি কারো অজানা নয়। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে সাংবাদিকসমাজের মধ্যে বিভেদরেখা  বিদ্যমান। তারা আজ ঐক্যবদ্ধ হতে না পারায় স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী পক্ষ নিপীড়নের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। যতদিন সাংবাদিক সমাজ দ্বিধাবিভক্ত থাকবে, ততদিন কায়েমি স্বার্থবাদীগোষ্ঠী ফায়দা লুটবে।

অনেকেই বলে থাকেন বর্তমানে মিডিয়ার দুঃসময় চলছে। এ অভিমতকে অসত্য বলা যাবে না। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি সংবাদমাধ্যমের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। একদিকে বিজ্ঞাপন কমেছে, অন্যদিকে পত্রিকার পাঠকের সংখ্যাও কমেছে। কোনো কোনো পত্রিকা প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। হাতে-গোনা কয়েকটি দৈনিক ছাড়া বেশিরভাগই অসচ্ছলতায় আক্রান্ত। এসব পত্রিকাকে প্রাণান্ত লড়াই করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে দেশের সংবাদপত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞজনেরা।

এমন দুঃসময়ে বাংলাদেশের খবরও সে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে এ পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মচারীরা শত দুঃখকষ্টকে গায়ে না মেখে পত্রিকাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছেন। এজন্য তারা অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক-কর্মচারীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহমর্মিতা যে-কোনো পত্রিকায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। আশা করা যায়, বাংলাদেশের খবরের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিক-কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে পাঠকপ্রিয় এই পত্রিকাটিকে আরো বেশি গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন। আজকের এ শুভদিনে বাংলাদেশের খবরের প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ, সাংবাদিক-কর্মচারী ও পাঠকদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশের খবর হয়ে উঠুক এদেশের মানুষের সত্য ও সঠিক খবর প্রাপ্তির নির্ভরযোগ্য উৎস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads