র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতারণা রোধে কাজ করছে র্যাব।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রতারকরা যাতে ভূয়া প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে না পারে সেজন্য পরীক্ষা চলাকালে গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার পেট্রোলিং ও আন্ডার কভার অপারেশন চলমান থাকবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা দল ও অন্যান্য গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা তৎপর রয়েছি। এ কাজে দুয়েক দিনের মধ্যে সাফল্য আসবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে বেনজীর আহমদ বলেন, প্রশ্নফাঁস ও প্রতারণা রোধে র্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা গত বছর থেকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছি। তিনি অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে প্রশ্নফাঁসের পেছনে না ছোটার আহবান জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্ন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত বছর ১২৮ জনকে র্যাব গ্রেফতার করেছিল। এবারও র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরও কোনও কোচিং সেন্টার চালু থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
র্যাব ডিজি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা চাই প্রশ্নফাঁসের পেছনে ছুটে কোনও পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নষ্ট না হোক। আমরা কোনো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করলে তার শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে। একইভাবে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
পরীক্ষা চলাকালে র্যাবের টিম প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের টিম কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে। আপনাদের কাছে কোনও ধরনের তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা গুরুত্বসহকারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
