• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দাগনভূঞায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শিক্ষা

দাগনভূঞায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

  • দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৯

দাগনভূঞা উপজেলার দেবরামপুর জাহানারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এমনকি সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ থাকেন অভিভাবকরাও। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মধ্য দেবরামপুর। একসময় এখানে কোনো বিদ্যালয় ছিল না। বিদ্যালয়টি ১৯৭৭ সালে জাতীয়করণ করা হয়। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২০০। বিদ্যালয়ে ১৯৮৯ সালে নির্মিত আধাপাকা ভবনটি নির্মাণের পর ভবনটিকে কখনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ ভবনে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বৃষ্টির সময়ে টিনের ফুটো দিয়ে মেঝেতে পানি পড়ছে। খসে পড়েছে পিলারের ইট-বালি।

বিদ্যালয়ে আরেকটি ভবন থাকলেও সেখানে দুটি মাত্র কক্ষ। কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কক্ষে শ্রেণির ক্লাস, রয়েছে অফিস। ভবন না থাকায় স্যাঁতসেঁতে অবস্থা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জাইরিন সুবা নাফিসা জানায়, বৃষ্টির সময় টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। ক্লাসের মেঝেতে পানি জমে থাকে। তা ছাড়া প্রায়ই দেয়ালের পলেস্তারা খসে বেঞ্চের ওপর পড়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চামেলী ভৌমিক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভবন অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য রেজুলেশন সহ   ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন দিয়েছি। এছাড়াও সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলটি নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছে। আটজন শিক্ষকের পদ থাকলেও একটি পদ শূন্য। বাথরুমের দেয়ালে ফাটল ধরেছে এবং নিচের অংশে গর্ত হয়ে সাপে বাসা বেঁধেছে।

দাগনভূঞা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমকে ইমাম উদ্দিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads