• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মরণঘাতী নয়— নিয়মিত ওষুধ সেবনে যক্ষ্মা ভালো হয়

নিয়মিত ওষুধ সেবনে যক্ষ্মা ভালো হয়

ছবি : প্রতীকী

স্বাস্থ্য

২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

মরণঘাতী নয়— নিয়মিত ওষুধ সেবনে যক্ষ্মা ভালো হয়

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০১৯

যক্ষ্মা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা প্রধানত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। যক্ষ্মা বলতে সাধারণভাবে আমরা ফুসফুসের যক্ষ্মাকেই বুঝি। তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যক্ষ্মা হতে পারে। যেমন লসিকাগ্রন্থি, হাড় ও গিঁট, অন্ত্র, হূৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের আবরণ ইত্যাদি। যক্ষ্মা এখন আর মরণঘাতী রোগ নয়। যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য, নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে যক্ষ্মা ভালো হয়। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে সফলতা পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে জনগণের মধ্যে আরো সচেতনতা বাড়াতে হবে। যক্ষ্মা উপসর্গ দেখা দিলে রোগীদেরও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ‘ন্যাশনাল টিউবারকিউলোসিস প্রিভেলেন্স সার্ভে বাংলাদেশ ২০১৫-১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশে প্রতি লাখে ২৬০ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে যক্ষ্মা আক্রান্তের হার বেশি। সারা দেশে এক লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত এ জরিপে দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষের মধ্যে যক্ষ্মা আক্রান্তের হার বেশি। প্রতি ১ লাখে ৪৫২ জন পুরুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত। এর বিপরীতে নারী লাখে ১৪৩ জন। বেশি বয়সীদের মধ্যে যক্ষ্মায় আক্রান্তের হার বেশি। এছাড়া গ্রামের তুলনায় শহরে যক্ষ্মা রোগী বেশি। যদিও দেশে যক্ষ্মা এখনো জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মার প্রকোপ এবং ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি এমন দেশের তালিকা তৈরি করেছে। দুটি তালিকাতেই বাংলাদেশের নাম আছে। তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মায় ৬৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মার জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। আর ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় (এমডিআর টিবি) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩০০। ডব্লিউএইচওর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৪০০ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত। কিন্তু নতুন জরিপে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ থেকে ২০৬ জনে নেমে এসেছে।  সে হিসেবে বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব কমেছে।

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। ১৮৮২ সালের এই দিনে জার্মান চিকিৎসক ডা. রবার্ট কক যক্ষ্মার মারাত্মক জীবাণু মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস চিহ্নিত করেন। মূলত এর ফলেই যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত ও প্রতিকার সম্ভব হয়। ড. ককসের ঘোষণার শতবর্ষ পালনের বছরই বিশ্ব যক্ষ্মা  দিবসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর পালিত হচ্ছে দিনটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে বছরে ৬৬ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। যক্ষ্মা আক্রান্ত ৩৩ শতাংশ রোগী এখনো চিকিৎসার বাইরে। দেশে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ আধুনিক যন্ত্রের স্বল্পতা আছে। জানা যায়, দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের  ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সাফল্য ৯৫ শতাংশ। দেশে যক্ষ্মা নির্ণয়, সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। ব্র্যাকসহ ২৬টি এনজিও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহাযতা করছে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বা এনটিপির হিসেবে ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ত্রিশ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় বিশ হাজার। বিশেষজ্ঞদের মতে যক্ষ্মা হলে অল্পমাত্রার জ্বর সাধারণত বিকেলের দিকে আসে। কাজকর্মে আগ্রহ কমে যায়। ক্ষয়রোগ হতে পারে। সাধারণত তিন সপ্তাহের বেশি কাশি বা দুই সপ্তাহের বেশি জ্বর চলতে থাকলে যক্ষ্মা হয়েছে বলে সন্দেহ করা উচিত, যদি অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক সেক্ষেত্রে কাজ না করে। এই সন্দেহই চিকিৎসককে দেবে রোগ নির্ণয়ের সঠিক নির্দেশনা। ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে কাশির সঙ্গে রক্ত যায় এটা যেমন ঠিক, তেমনি আবার যক্ষ্মা ছাড়া ফুসফুসের অন্যান্য রোগেও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যেমন- ব্রংকাইটিস, ফুসফুসে ফোঁড়া, ফুসফুসের ক্যানসার, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাই যখনই কারো খুসখুসে কাশি দেখা দেবে, জ্বর দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে তখনই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে যক্ষ্মার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়া বা সতর্ক হওয়া উচিত।

এটা যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ, তাই প্রয়োজন সতর্কতা। যক্ষ্মা আক্রান্তের হাঁচি-কাশি থেকে অন্যান্য সুস্থ লোকজনের মধ্যে এর জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই আক্রান্ত রোগীদের যেখানে সেখানে কফ-কাশি না ফেলে একটা আলাদা পাত্রে বা স্থানে ফেলা উচিত যাতে বাতাসে ছড়িয়ে না যায়। দেশের প্রায় সব জায়গায় যক্ষ্মার চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিক, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, গার্মেন্ট কর্মীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, জেল খানায় যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্তদের জন্য নয়টি বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে।

 

ডায়াবেটিস-যক্ষ্মা : এক মায়ের দুই সন্তান!

ডায়াবেটিস ও যক্ষ্মা যেন এক মায়ের দুই সন্তান। স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ডায়াবেটিস ও যক্ষ্মা অন্যতম। বিভিন্ন কারণে যেমন কায়িক পরিশ্রম কম করা, খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন, বংশগত এবং অন্যান্য কারণে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে যক্ষ্মা যা একটি জীবাণুঘটিত রোগ, আমাদের সমাজে সবসময় বিদ্যমান এবং প্রধানত দরিদ্র শ্রেণি বেশি আক্রান্ত।

বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ হলো এইচআইভি এবং এইডস রোগের ব্যাপকতা। যেহেতু যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত রোগ, তাই যে সব রোগে বা কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সেই রোগীদের যক্ষ্মা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে এখনো এইডস রোগের ব্যাপকতা এত বেশি নয়।

কিন্তু একটি বিশাল জনগোষ্ঠী ডায়ারেটিস রোগে আক্রান্ত। আর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ। ডায়াবেটিক রোগী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে অনেক ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করতে যথেষ্ট দেরি হয়ে যায়; কারণ ডায়াবেটিক রোগীদের যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ সাধারণ যক্ষ্মা রোগীদের মতো নাও হতে পারে। যদিও যক্ষ্মা রোগে প্রধানত ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে থাকে; কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুসবহির্ভূত যক্ষ্মা আক্রান্তের হার অনেক বেশি। যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের অন্যতম পদ্ধতি হলো কফ পরীক্ষা করা এবং বুকের এক্স-রে করা। এই দুই ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় এক্স-রেতে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ সঠিকভাবে প্রকাশ পায় না এবং কফের মধ্যে জীবাণু পাওয়ার হার অনেক কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের জন্য ঐরময উবমৎবব ড়ভ ংঁংঢ়রপরড়হ দরকার। যদি কোনো ডায়াবেটিক রোগী জ্বর-কাশিতে ভোগেন এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পরেও অবস্থার উন্নতি না হয়, তখন যক্ষ্মা রোগের বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

 

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা

শনাক্তের বাইরে থাকা যক্ষ্মা রোগীরা কিংবা যারা চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ করেন না, তাদের কারণেই এটি বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। তাই শনাক্তের বাইরে থাকা যক্ষ্মা   রোগীরা কিংবা যারা চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ করেন না, তাদের কারণে বাংলাদেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা এমডিআর। এ প্রসঙ্গে ঢাকায় আইসিডিডিআর-বি’র একজন বিজ্ঞানী ড. সায়েরা বানু বলেছেন, বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু আক্রান্ত অনেক রোগী ওষুধের ফুল কোর্স সেবন না করায় পরিণত হচ্ছেন ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীতে। যাদের ডায়াগনসিস হয় না বা যারা ওষুধ খান না, তাদের কারণেই ঝুঁকি বাড়ছে।

চিকিৎসা না হলে প্রতিটি রোগী আরো দশজনকে আক্রান্ত করতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ৫ হাজার রোগীর মধ্যে ৪ হাজার শনাক্তের বাইরে। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ভয়ের কারণ নেই। কারণ শনাক্ত করতে অত্যাধুনিক জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা চলে এসেছে, যার মাধ্যমে দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা করা যায়। এ ধরনের ১৯৩টি যন্ত্র বাংলাদেশে এসেছে। আর এখন বাংলাদেশই এমন পদ্ধতি বের করেছে, যাতে ৯ মাসেই রোগীদের ভালো করা যায়। চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ চিকিৎসা তাদের জন্য আর কার্যকর থাকছে না, শনাক্ত করার পর তাদের জন্য প্রয়োজন হয় আরো দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার- এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

যক্ষ্মা রোগের নতুন টিকা

যক্ষ্মা রোগের একমাত্র টিকার বয়স ১০০ পার হতে চলেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গবেষণা প্রকল্পে একটি নতুন ‘জীবন্ত’ টিকা তৈরি নিয়ে কাজ চলছে। স্পেনের উত্তরে একটি হাসপাতালে এমন একটি রোগের চিকিৎসা করা হয়, যা বস্তুত ইউরোপ থেকে উধাও হয়ে গেছে অথবা যাওয়ার কথা। ভিগো থেকে ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে, সুইজারল্যান্ডের লোসান শহরে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে প্রথম ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু হয়েছে। দেখা হচ্ছে টিকাটি কতটা নিরাপদ এবং দেহের যে অণুগুলো আমাদের যক্ষ্মা থেকে বাঁচায়, সেগুলো এই টিকার ফলে সক্রিয় হচ্ছে কিনা। ইমিউনোলজিস্ট ফ্রঁসোয়া স্পের্তিনির মতে, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে আমরা যদি দেখাতে পারি যে, স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে এই রক্ষাকারী অণুগুলো রয়েছে, তাহলে খুব ভালো হয়। তার মানে, বাস্তব রোগীদের ক্ষেত্রে যাদের এই অণুগুলো আছে, তারা অধিকতর সুরক্ষা পাবেন। আমরা সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’ বৈজ্ঞানিক বৈধতা পাওয়ার জন্য নতুন টিকাকে তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পাস হতে হবে। তার দশ বছরের মধ্যেই বাজারে ছাড়ার জন্য টিকা তৈরির কাজ শুরু হতে পারবে বলে গবেষকদের আশা।

 

প্রতিরোধে ১১টি কাজ

জীবনধারার সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে একে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারেন।

ঘনিষ্ঠ সাহচর্য এড়িয়ে চলা : যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় প্রতিরোধী মাস্ক ও গ্লাভস পরুন। রোগীর কাছ থেকে আসার পর জীবাণুনাশক পরিষ্কারক দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন। ভিড়, গুমোট পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর স্থান এড়িয়ে চলুন।

ইমিউনিটির উন্নতি ঘটান : খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন। প্রতিদিন তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খান।

প্রোটিন গ্রহণ করুন : নারীদের প্রতিদিন ৪৬ গ্রাম এবং পুরুষের ৫৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। প্রোটিন কোষের গঠনে এবং কোষের মেরামতে সাহায্য করে।

পুষ্টিসম্পন্ন খাবার : কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটের সমন্বয় করে খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ এদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা আছে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে।

ব্যায়াম : সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। রক্ত সংবহনের উন্নতি হলে ইমিউনিটিরও উন্নতি হয়।

মেডিটেশন : প্রতিদিন কিছুটা সময় মেডিটেশন করুন। এর ফলে আপনার প্রাত্যহিক স্ট্রেস কমবে এবং আপনার ইমিউন সিস্টেমের ওপরও প্রভাব ফেলবে। 

পরিচ্ছন্নতা : সুস্থ থাকার জন্য ও জীবাণুর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য এই সহজ ও সাধারণ অভ্যাসটিকে অবহেলা করা উচিত নয়।

শিশুদের টিকা দিন : যেহেতু নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ করাই ভালো। তাই আপনার সন্তানকে বিসিজি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

ওষুধের কোর্স : যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসক  নির্দেশিত ওষুধ গ্রহণ করা মাঝপথে বন্ধ করে দিলে যক্ষ্মা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধী রূপ তৈরি হয়। টিবিতে আক্রান্তদের ওষুধের নির্ধারিত কোর্স সম্পন্ন করা উচিত।

স্ট্রেস : যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যাকে বৃদ্ধি করে স্ট্রেস। যতটা সম্ভব স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম : অনেককেই ঘুমের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যদিও সুস্থ থাকার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads