• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
ফারমার্স ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

লোগো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

আইন-আদালত

এস কে সিনহার দুর্নীতি অনুসন্ধান

ফারমার্স ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ফারমার্স ব্যাংকের এডিসহ ৭ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিষেধাজ্ঞার এ চিঠি দিয়েছে। আগে ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয়। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, নির্বাহী কর্মকর্তা  উম্মে সালমা সুলতানা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, সাবেক ম্যানেজার অপারেশন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুতফুল হক, সাবেক হেড অব বিজনেস ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়কে।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে এসব ব্যক্তির পাসপোর্ট নম্বর, পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে বলা হয়, দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ওই অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী  উল্লিখিত ৭ ব্যক্তি। ইমিগ্রেশন পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ শাখায়ও (এসবি)  নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ফারমার্স ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকে নিজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা অবৈধভাবে উপার্জিত ৪ কোটি টাকা নিজ ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। তবে অনুসন্ধানের জিজ্ঞাসাবাদে ওই অর্থের জোগানদাতা হিসেবে দুই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন এ অর্থ এস কে সিনহার উত্তরার বাড়ি বিক্রির। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে এস কে সিনহার ঘনিষ্ঠ আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল এবং নাজমুল আলম দাবি করেছেন, বাড়ি বিক্রির এ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শান্ত্রি রায় ৬ কোটি টাকায় কেনেন। তখন বায়না দলিলের সময় তিনি ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ঋণ নিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয় এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এস কে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করছে দুদক।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads