• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর

সম্মতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

সাংবাদিকদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হচ্ছে। জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে পাস হওয়া এই বিলটিতে গতকাল সোমবার সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতি কোনো বিলে স্বাক্ষরের পর পরই এটি আইনে পরিণত হয়। এখন এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করবে সরকার।

সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, গতকাল এই বিলটির সঙ্গে আলোচিত সড়ক পরিবহন বিলসহ গতকাল আরো ৬টি বিলে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন আইনে পরিণত হওয়া এসব বিল হচ্ছে সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮, আল-হাইআতুল উলিয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীন কওমি মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদ মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান (কওমি মাদরাসা) বিল-২০১৮, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল-২০১৮, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০১৮, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্ট বিল-২০১৮। এসব বিল সংসদের ২২তম অধিবেশনে পাস হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটির খসড়া তৈরির সময়ই এর বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করে আসছিলেন সাংবাদিকরা। এটি সংসদে পাস হওয়ার পর তাতে রাষ্ট্রপতিকে স্বাক্ষর না করার আহ্বান জানায় বিভিন্ন মহল। সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এই বিল পাসের বিরোধিতা করে কর্মসূচিও দিয়েছিল। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অনুরোধে সেসব কর্মসূচি স্থগিত করে তার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সে সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আইনের যে ৯টি ধারায় আপত্তি এগুলোর বিষয়ে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। এর পর আবার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আপত্তির ধারাগুলো নিয়ে মন্ত্রিপরিষদে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় থেকে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল ওই আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন আইনে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হবে। বিভিন্ন মহল থেকে সবচেয়ে বেশি আপত্তি এসেছে এ আইনের ৩২ ধারা নিয়ে। সেখানে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ‘অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৯২৩-এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করে বা করতে সহায়তা করেন, তা হলে তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads