• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
‘অনুমোদনহীন পানি বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

‘অনুমোদনহীন পানি বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন পানি বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে বিএসটিআইকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। নিম্নমানের পানি বাজারজাতকারীদেরও ধরা হবে বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সমন্বয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নেয়ামুল হক রিপন, সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবির, সমন্বয়ক মাফুজুর রহমান, সদস্য ফামেতা বেগম, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সংগঠনের নেতারা বলেন, লাইসেন্সবিহীন ও এলাকাভিত্তিক অবৈধ দখলদার পানি বিক্রেতাদের কারণে নিম্নমানের পানিতে বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভোক্তারা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা এ ধরনের অবৈধ পানি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা বাজারে মানসম্মত ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিম্নমানের পলিথিন দিয়ে প্রস্তুতকৃত পিইটি জারের উৎপাদন বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেন। পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তারা একে শিল্প হিসেবে ঘোষণারও দাবি জানান। 

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী দ্রুত অননুমোদিত ও নিম্নমানের পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা শিল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে সংগঠনের নেতাদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির নিশ্চয়তা বিধান সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সরকার প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি পানি ব্যবসায়ীদেরকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি নৈতিকতার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন। ক্রেতাসাধারণের জন্য নিরাপদ পানিসহ ভেজালমুক্ত খাদ্য ও ভোগ্য পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বিএসটিআই এবং বিএবি’র কার্যক্রম জোরদার করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, এর আগে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে বৈঠক করেন। তারা এ সময় শিল্প খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে আহ্বান জানান। এ পরিকল্পনা মোতাবেক খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব। এর মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি ওমর সাদাত, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম মোর্শেদ, সহসভাপতি মো. মুইন উদ্দিন মজুমদার, পরিচালক মো. আনোয়ার শহীদ, নির্বাহী পরিচালক এমএ মতিন, ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ফামিরা নাহিন এবং যোগাযোগ ও গবেষণাবিষয়ক ব্যবস্থাপক রাকিব হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিজিসিসিআই’র নেতারা বাংলাদেশ ও জার্মানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ইতোমধ্যে ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের অভিযাত্রা জোরদার করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ আরো বাড়ানো যেতে পারে। তারা সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত শিল্প খাতের লক্ষ্য অর্জনে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী গ্রামকে শহরে পরিণত করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনগণের জীবন মানোন্নয়নসহ বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক রাজনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি উদীয়মান শিল্প খাতের উন্নয়নে বিকাশে খাতভিত্তিক সমন্বিত প্রস্তাব পেশের জন্য বিজিসিসিআই’র নেতাদের পরামর্শ দেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads