• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে ‍রিটের শুনানি ১১ ফেব্রুয়ারি

হাইকোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে ‍রিটের শুনানি ১১ ফেব্রুয়ারি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

অফিস সময়ে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রিটে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। শুনানিতে আদালত বলেন, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নির্বাহী বিভাগের প্রধান। তিনি ইতোমধ্যে বলেছেন, সরকারি চিকিৎসকরা সেবা দিতে না পারলে চাকরি ছেড়ে দিন। এর চেয়ে বেশি আর কী বলবেন? এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে। এরপর রিটের ওপর আংশিক শুনানি নিয়ে আবেদনটির কিছু অংশ সংশোধন করার নির্দেশ দেন আদালত। 

গত সোমবার অফিস সময়ে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সালাউদ্দিন রিগান, সুজাত মিয়া, মো. আমিনুল হক ও মো. কাওছার উদ্দিন মণ্ডল। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএমএ) সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে চিকিৎসকদের সম্পূর্ণভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের সব কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা গঠনে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আর্জি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি অফিস সময়ে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। নোটিশে বলা হয়, সরকারি চিকিৎসকদের থেকে চিকিৎসা পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সম্প্রতি নিজ কর্মস্থল সরকারি হাসপাতাল রেখে অনেক চিকিৎসকই ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। অফিস সময়ে চিকিৎসকদের এমন অসদাচরণ আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। তাই প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads