• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
নেত্রকোনার পাঁচজনের রায় আজ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

ছবি : সংরক্ষিত

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নেত্রকোনার পাঁচজনের রায় আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০১৯

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাঁচজনের বিরুদ্ধে রায় আজ বৃহস্পতিবার। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন। এই পাঁচ আসামি হলো মাওলানা শেখ মো. আবদুল মজিদ ওরফে মজিদ (৬৬), মো. আবদুল খালেক তালুকদার (৬৭), মো. কবির খান (৭০), আবদুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন (৭০)। বর্তমানে সবাই পলাতক রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি এ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। এই মামলার মোট আসামি সাতজন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যায় আহাম্মদ আলী (৭৮)। আর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় মারা যায় আরেক আসামি আবদুর রহমান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর ১টায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আবদুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহীদ আবদুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির বাদী হয়ে ২০১৩ সালে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পরে তদন্তে আরো তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে মোট আসামি হয় সাতজন। কিন্তু পরে দুই আসামি মারা যায়।

বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির মামলায় অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত তার বড় ভাই আবদুল হেকিম ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন। রাজাকাররা এ খবর জানতে পেরে তাদের বাড়িতে গিয়ে তার বড় ভাই আবদুল খালেককে পিঠমোড়া করে বেঁধে মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের খোঁজখবর জানতে চায়। ভাইদের কোনো খোঁজ না দেওয়ায় তখন রাজাকার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘরে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ভাই খালেককে ধরে নিয়ে গিয়ে জারিয়া রাজাকার ক্যাম্পে দুদিন আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরের দিন ২১ আগস্ট তাকে জারিয়া কংস নদের পাড়ে গুলি করে হত্যা করে পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads