শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের দেওয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই আবেদন শুনানি শেষে নো অর্ডার দেন আদালত।
এমপি হারুনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
২৮ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এই এমপিকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড স্থগিত ও মামলার নথিপত্র তলব করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে পরদিন দুদক আবেদন করে।
গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম হারুনুর রশীদকে পাঁচ বছরের দণ্ডের রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
রায় ঘোষণার পর এমপি হারুনকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।