• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঘুম থেকে তুলে নিয়ে বাবা-চাচা মিলে হত্যা করে শিশু তুহিনকে

ফাইল ছবি

আইন-আদালত

ঘুম থেকে তুলে নিয়ে বাবা-চাচা মিলে হত্যা করে শিশু তুহিনকে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

সুনামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, তিন চাচা ও এক চাচাতো ভাইকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল আদালত দিরাই জোনে এ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

অন্য আসামিরা হলেন- নিহত তুহিনের চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ আলী, নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ওরফে শাহারুল।

সোমবার দুপুর একটায় সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে তুহিনকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তারা বাবা ও চাচারা জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত হত্যা করে। এর পর মৃত্য তুহিনের লিঙ্গ ও কান কেটে দেয় ঘাতকরা। তার পরে পেটে দুটি ছুরি ডুকিয়ে বাড়ির অদূরে গ্রামের মসজিদের সামনে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে তুহিনের মৃত্য দেহ। পর দিন ১৪ অক্টোবর সকালে পুলিশ নিহত শিশু তুহিনের লাশ উদ্ধার করে।

এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ আল, নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ওরফের শাহারুলকে আটক করে দিরাই থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ওই দিনই তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত নামা আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৫ অক্টোবর পুলিশ সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিরাই জোনের বিচারক মোহাম্মদ খালেদ মিয়ার আদালতে তুহিনের চাচা নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

একই দিন বিকেলে একই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহার আদালতে তুহিন হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মো. আবু তাহের মোল্লা তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মোছাব্বির ও জমসেদ আলীকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরকে ৫ দিনে এবং চাচা আব্দুলর মোছাব্বির ও জমসেদ আলীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads