• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
শিশু হত্যা মামলায় জয়পুরহাটে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

শিশু হত্যা মামলায় জয়পুরহাটে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০২০

জয়পুরহাটে আলোচিত শিশু আরাধা রাণী অপহরণ ও হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত শিশুর বাবা পরেশ চন্দ্র।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নন্দকিশোর আগরওয়ালা ও অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অ্যাডভোকেট হেনা কবির, অ্যাডভোকেট শহিদলু ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবু কাউছার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে জেলার সীমান্তবর্তী পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রাণী বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির বাবা পরেশ চন্দ্র ওইদিনই পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদূরে মোলান বাজারের পাশে একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির প্রতিবেশী উত্তম কুমার, বিরেশ চন্দ্র ও সন্তোষ সরকার এবং বিনধারা গ্রামের মোস্তাফিজুর ও ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে তারা জানায় মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে ২২ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণের পর মুখ ও হাত স্কচ টেপ দিয়ে বেঁধে বিরেশ চন্দ্রের বাড়িতে বাক্সবন্দী করে রাখা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা গেলে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে ঢিলের নিচে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পাঁচ আসামির মধ্যে উত্তম কুমার পলাতক রয়েছেন। অন্য চার আসামি জয়পুরহাট জেলা কারাগারে রয়েছেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads