• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

ধর্ষণ মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণ মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়, ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে কোনো ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলে সেটি মিথ্যা বলা যাবে না মর্মে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

ধর্ষণের মামলার সংজ্ঞায় বলা আছে, মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কোনোভাবেই সাজা দেওয়া যাবে না আসামিকে। ধর্ষণ মামলা প্রমাণ করতে তাই অন্যতম অস্ত্র মেডিকেল রিপোর্ট। কিন্তু গতকাল হাইকোর্ট তার এক রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়াও পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণের সাজা দেয়া যাবে।

আদালত তার রায়ে বলেছেন, শুধু মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে ধর্ষণের মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না। ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে যে আসামি ধর্ষণ করেনি মর্মে খালাস পেয়ে যাবে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলেও তা মিথ্যা নয় বলেও রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০০৬ সালে খুলনার দাকোপ থানায় ১৫ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যান। কিন্তু মামলা না নিয়ে সালিশের প্রস্তাব দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে মামলা করেন। তাতেও পুলিশের চাপে হয়নি মেডিকেল পরীক্ষা। যে মামলায় আসামি ইব্রাহীম গাজীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্ট বলেন, বিলম্ব মানেই কোনো মামলা মিথ্যা নয়।

আদালত তার রায়ে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী যেন বিচার না পায় সে জন্য খুলনার দাকোপ থানা পুলিশ সে সময় সব চেষ্টাই করেছিল। এর আগে ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট না থাকায় ইব্রাহীম গাজীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads