• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

আইন-আদালত

সিনহা হত্যা

বিচারের মুখোমুখি ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০২১

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান খুনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। এ কারণে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তবে বেলা ১১টার দিকে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার কারাগার থেকে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেবনাথ।

অন্য আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব, মো. আব্দুল্লাহ ও টেকনাফের বাহারছড়ার মরিচবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের ৩ দফায় ১২ থেকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। এছাড়াও ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম বলেন, আজ সোমবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন। এ কারণে ১৫ আসামিকে আদালতে হাজি করা হয়েছে। টানা ৩ দিন তাদের হাজির করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, সিনহা খুনের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে ৩টি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। এদিকে ঘটনার ৫ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরে ৪টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads