ফেন্সিডিলকে মাদক হিসেবে ঘোষণা করলো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে ফেনসিডিল পরিবহণ করাকে অবৈধ করলো আপিল বিভাগ। এর মাধ্যমে ফেন্সিডিল নিয়ে ২০০৩ সালে দেয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করলো আপিল বিভাগ।
দেশে প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় ফেনসিডিল। চালানসহ আসামি গ্রেপ্তারের পর কখনো এসব মামলায় সাজা হয়, কখনও খালাস পেয়ে যান আসামিরা।
ফেনসিডিল এক সময় ছিল কাশির সিরাপ। ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে তরুণ প্রজন্মের নেশার বস্তু। এটি আদৌ মাদক কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে ১৯৯৭ সালে যশোরের চৌগাছায় ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ বাদল কুমার পালের গ্রেপ্তারের পর।
২০০০ সালে এ মামলায় বাদল কুমার পালকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উদাহরণ দিয়ে ২০০৩ সালে তাকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। এসময় হাইকোর্ট বলেন, ফেন্সিডিল কোন মাদকই না। এটি পরিবহণও কোন অপরাধ না।
তবে এবার আপিল বিভাগ ফেন্সিডিল বহন করা অবৈধ ঘোষণা করলো। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে বাদল পালের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানবদেহে কি ক্ষতি করতে পারে। যেমন: স্ট্রোক হতে পারে, হার্ট অ্যাটাক করতে পারে, মানসিক রোগী হয়ে যেতে পারে, সিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেছেন। আমাদের বক্তব্যগুলো গ্রহণ করেছেন। হাইকোর্টের যে জাজমেন্ট সেটাকে বাতিল করে দিলেন। বাদল পালের যে যাবজ্জীবন সাজা ছিলো সেটি বহাল রেখেছেন।
দেশে মাদক সংক্রান্ত প্রায় দু'লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে এ রায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।