• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ওআইসিভুক্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

ছবি: সংরক্ষিত

জাতীয়

ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

ওআইসিভুক্ত (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্সের (সিএফএম) চেয়ারম্যান হয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলনের শুরুতে আগামী এক বছরের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে মাহমুদ আলীর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আইভরিকোস্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেল আমন-তানোহ। দায়িত্ব গ্রহণের পর মাহমুদ আলী বলেন, ‘ওআইসির উচিত হবে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। একই সঙ্গে মিয়ানমারকে রাজি করানো যেন স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে পারে।’

বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় গণহত্যার পর এটিই সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়।’ ইসলামের অপব্যাখ্যা ও জঙ্গিবাদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলাম ও শান্তির সঙ্গে চরমপন্থার কোনো সম্পর্ক নেই। মুষ্টিমেয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল গোষ্ঠীর জন্য ইসলামের দুর্নাম হচ্ছে। ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’

কাজাখস্তানের কাছে বাংলাদেশের পরাজয় : সম্মেলনে ওআইসির সহকারী মহাসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) পদে নির্বাচনে কাজাখস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রার্থী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান। নির্বাচনে এশিয়া অঞ্চলের ১৮টি রাষ্ট্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এতে বাংলাদেশের প্রার্থী পান ৬ ভোট, অপরদিকে কাজাখস্তানের প্রার্থী পান ১২ ভোট। প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর ওআইসির নীতিনির্ধারণী কোনো পদে লড়ে হারল বাংলাদেশ।

সংস্থাটিতে ৫টি সহকারী মহাসচিব পদ রয়েছে। সংস্থাটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তার অন্যতম ওই পদে জয়ী হতে টানা কয়েক মাস ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভোটার রাষ্ট্রগুলোতে গিয়ে এবং ঢাকায় তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রচারণা চালান।

সবশেষ ২০০৩ সালে সংস্থাটির মহাসচিব পদে প্রার্থী দিয়েছিল বাংলাদেশ। সে সময় মনোনয়ন পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র মুখ ফিরিয়ে নেয়।

১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংস্থাটির সদস্য হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads