• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
শহর পানিতে ডুবলেও ঘরে খাবার পানি নেই

শহর ডুবছে পানিতে কিন্তু খাবার পানির অভাব

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

শহর পানিতে ডুবলেও ঘরে খাবার পানি নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ জুন ২০১৮

রাজধানী ঢাকায় একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় অধিকাংশ সড়ক, অলিগলি। কোথাও হাঁটু বা কোথাও তার চেয়েও বেশি পানি জমে যায়। অথচ এই পানির শহরেই বাসাবাড়িতে খাবার পানি নেই। শহরের বেশ কিছু এলাকায় এই সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে।

সংবাদ মাধম বলছে, রোজার শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার লাইনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। রোজায় সন্ধ্যা ও সাহরির রান্নায় পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় গ্রীষ্মের শুরু থেকেই পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মনিপুরের কাঁঠালপাড়াবাসী এক দিন পর পর রাতে পানি পাচ্ছে। তাদের এই অবস্থাও দীর্ঘদিনের। অনেক জায়গায় লাগাতার পানি আসছে না। যদিও আসে, দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত। মগবাজার, মিরপুর, গেণ্ডারিয়া, ধোলাইখাল, আগারগাঁও, খিলগাঁও, মাণ্ডা, পূর্ব জুরাইন ও পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারেও ওয়াসার লাইনে পানির সঙ্কট রয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় টানা প্রায় তিন ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। শহরজুড়ে টইটম্বুর পানি থাকলেও বাসাবাড়িতে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রমজানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার লাইনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গত কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

মহসিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পানির শহরে পানি নাই, পানির দেশে পানি নাই, সেটা কোন দেশ? বাংলাদেশ, ঢাকা।’ মিরপুরের এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হচ্ছে আমাদের। রোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে। রাতে পানি আসেনি। বালতিতে একটু পানি ধরে রেখেছিলাম। তা দিয়েই সব কাজ করতে হয়েছে।

আরামবাগের বাসিন্দা হাজী মকবুল হোসেন জানান, পানির অভাবে নামাজ-রোজা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে পানি নেই। অনেক কষ্টে দিন পার করছি। খবর জাগো নিউজের।

পানি সঙ্কটে পড়েছে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দারাও। তাদেরকে রীতিমতো ছোটাছুটি করে লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যের বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ইয়াসমিন আক্তার নামে এক গৃহকর্মী বলেন, লাইনে পানি নেই। এ জন্য অন্যের বাড়ি থেকে পানি টানতে হচ্ছে। এতে আমি অসুস্থ হয়ে গেছি।

একই অবস্থার কথা জানান রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা রহমান মুন্সি। তিনি বলেন, আমাদের পানির লাইনে সমস্যা আছে বলে মনে হয়। অনেক দিন ধরেই দুর্গন্ধ এবং হলুদ রঙের পানি পাচ্ছি। এখন তো নিয়মিত পানিই আসছে না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, কিন্তু লাভ হয়নি, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তবে রাজধানীতে কোথাও খাবার পানির সঙ্কট নেই বলে জানিয়েছে ওয়াসা। সিস্টেম লসের কারণে অনেক জায়গায় সাময়িক সমস্যা থাকলে তা খবর পাওয়া মাত্রই সমাধান করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালের জন্য ওয়াসার বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নেওয়া আছে। কোথাও পানি সমস্যা থাকলেও সেখানে সরবরাহ করছি। ওয়াসার ৭৮০টি পাম্প দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রাজধানীর কোথাও পাম্প খারাপ হলে ওই এলাকায় একটু সমস্যা হয়। তবে এটা সাময়িক। খবর পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওয়াসার নিজস্ব গাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশি। এ জন্য পানির সঙ্কট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads