• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
সড়কে নিহতদের ২৭ ভাগ মোটরসাইকেল আরোহী

অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে চলেছে

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

নিসচার পরিসংখ্যান

সড়কে নিহতদের ২৭ ভাগ মোটরসাইকেল আরোহী

# ২০১৬ সালে মোটরসাইকেল ছিল ৭ লাখ, এখন ২২ লাখ # অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ অক্টোবর ২০১৮

অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ ভাগই মোটরসাইকেল আরোহী। বিগত দুই মাসেও ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে ৭ জনই মোটরসাইকেল আরোহী।

নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা’র চেয়ারম্যান চলচ্চিত্রাভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। ‘২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ও মরহুমা জাহানারা কাঞ্চনের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিসচা। এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিসচা’র মহাসচিব হাসানুল হক কামাল, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ প্রমুখ।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ার তথ্যে চমকে উঠতে হয়। ২০১৬ সালে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৭ লাখ হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২ লাখ।

বিগত বছরের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের দুর্ঘটনার সংখ্যা ২ হাজার ৬২৬, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৩১৬, ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৪৯ এবং ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কারণে রাজধানীতে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে। তবে তা পুরোপুরি পরিবর্তন করার জন্য কিছু সময় দরকার, কারণ মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন হতে একটু সময় লাগবে। জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।

তিনি আরো বলেন, ২৫ বছর পূর্বে এ দেশের জনসংখ্যা ১১ কোটি থাকলেও দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি ছিল। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কো‌টি হলেও গাড়ির সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। তারপরও দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। কিন্তু ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এসব দুর্ঘটনা কমানোর জন্যই মাসব্যাপী আমাদের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিগুলো হলো, ২ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক এবং রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পথ নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে। ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত টাঙ্গাইল, বগুড়া, জয়পুরহাট, নরসিংদী ও কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের নিয়ে নিরাপদ বিষয়ক কর্মশালা করা হবে। ১৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত। ১৪ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রশিক্ষিত লাইসেন্সধারী চালকদের মাঝে সনদ বিতরণ। ২০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন। ২১ অক্টোবর র্যালি এবং ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর দেশব্যাপী বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ও বাস টার্মিনালে ছাত্রীদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads