• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেরা চৌকস ক্যাডেটকে সোর্ড অব অনার প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

ছবি : পিআইডি

জাতীয়

দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

সেনাবাহিনীর নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রপতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সজাগ থাকতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৭৬তম বিএমএ লং কোর্সের ক্যাডেট অফিসারদের কমিশন লাভে রাষ্ট্রপতি পদক-২০১৮ অনুষ্ঠানে ভাষণকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তরুণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আবদুল হামিদ বলেন, এ কথা মনে রাখতে হবে, অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। এজন্য সবাইকে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের কাজের মাধ্যমে এমন নজির স্থাপন করবে যা পরবর্তীদের জন্য অনুসরণীয় হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতা, মেধা ও পেশাদারত্বের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করবে।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গৌরব। এই আনন্দের দিনে তিনি সব নবীন কর্মকর্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সেনানিবাসের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির উদ্বোধন করেন। বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। ইতোমধ্যে এখানে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণের সব অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এ একাডেমিতে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি অনার্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এখন শুধু আমাদের সামরিক একাডেমি দেখতে আসে না, এখানে প্রশিক্ষণ নিতেও আসে। তিনি বলেন, বিগত প্রায় ১০ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি এ সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নসহ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এক দশক আগেকার সেনাবাহিনীর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয়ে অনেক বেশি উন্নত, দক্ষ এবং চৌকস।

এর আগে রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে চড়ে চৌকস প্যারেড ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মধ্যে পদক তুলে দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads