• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক

মার্চে পর্যটকদের নৌভ্রমণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

আগামী মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল রোববার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ড. আদর্শ সায়ইকার সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময়  বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে একসাথে কাজ করতে আমরা একমত। এতে করে উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মোংলায় ১১০ একর জমির ওপর স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু করবে। মিরসরাইয়ে এক হাজার একর জমির ওপর এবং ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ভারত। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমরা উভয় দেশ একমত হয়েছি। চলমান বর্ডার হাটের পাশাপাশি আরো ৬টি বর্ডার হাট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯৪৯২.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭২.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। প্রথমে ভারতের পর্যটক দল নৌপথে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads