মানবাধিকার রোহিঙ্গাদেরও অধিকার উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার এইচই নুর আশিকিন তাইব। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিক উদ্যোগ বাংলাদেশ নিয়েছে মালয়েশিয়া তার সহযোগী আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন এখানে অবস্থান করবে ততদিন বাংলাদেশের পাশে থেকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে মালয়েশিয়ান সরকার। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসাদের মানবিক সেবা দেওয়া সবার নৈতিক দায়িত্ব।
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী ১৫ নং ক্যাম্পে মালয়েশিয়া ও ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নবনির্মিত হাসপাতালে এলে স্থানীয় এনজিও সংস্থা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, সুধী সমাজ তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে হেলথ কেয়ার সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সেবায় এখানে আরো ২টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে রোহিঙ্গারা যখন এদেশে পালিয়ে এসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আশ্রয় নেয় তখন নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি উত্তরণের জন্য এগিয়ে আসে মালয়েশিয়া সরকারের চিকিৎসক প্রতিনিধিদল। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে পরিশ্রম করে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন। এদের পাশাপাশি অন্যরাও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকলেও মালয়েশিয়ান চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, প্রকল্প ও গবেষণা বিভাগীয় প্রধান ডা. ওমর শরীফ ইবনে হাসান, সহযোগী অধ্যাপক হানাফি রামলি, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. শফিকুল ইসলাম সোহাগ, ইন্টারনাল অডিট অফিসার মো. আরমান হোসাইন, স্থানীয় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বিশেষ উদ্যোগী আবদুল আজিজ। উদ্বোধনের পর তিনি ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
