• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
আইজিপিকে ফোরস্টার ও সদস্য বাড়ানোর দাবি পুলিশের

লোগো বাংলাদেশ পুলিশ

জাতীয়

আইজিপিকে ফোরস্টার ও সদস্য বাড়ানোর দাবি পুলিশের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ট্রাফিক পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বাড়ানো, ধোলাই ভাতা, মোটরসাইকেলের ফুয়েল ও রেশন সুবিধাসহ নানা ট্রেড ভাতাসহ আরো কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশের আইজিপিকে ফোরস্টার, ১ লাখ সদস্য বাড়ানোসহ নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এসব দাবির বেশিরভাগই পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারিসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ২ শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ শেষে ৩৩৯ কর্মকর্তাকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন শেষে অডিটোরিমে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভায় পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। কল্যাণ সভায় পুলিশের বিভিন্ন ট্রেডের ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। তারা ট্রাফিক পুলিশের ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করলে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে যথাশীঘ্র সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ছাড়া বর্তমানে অবসরে যাওয়ার পর একজন পুলিশ কর্মকর্তা অবসরকালীন একজনের রেশন সুবিধা পান। পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনায় এই সংখ্যা ২ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন। পাশাপাশি পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যরা নিজেদের অর্থে মোটরসাইকেল ক্রয় করে সরকারি কাজে ব্যবহার করার কথা বলেন এবং মোটরসাইকেলের তেলের ব্যয়ভার এখন থেকে যাতে সরকার বহন করে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ নেওয়া হবে বলে জানান।

জনবল বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে আগামী ১ বছরে ১ লাখ পুলিশ সদস্য বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। তবে এসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সেবার মান আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জনগণের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে। জনগণ যাতে পুলিশকে বন্ধু মনে করে সেটা মাথায় রেখে কাজ করে যেতে হবে। আমরা পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার করেছি। ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনীর সমস্যা সমাধান করে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads