• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৮১ অবৈধ স্থাপনা

বিআইডব্লিউটিএ গতকাল মোহাম্মদপুরের বসিলায় বহুতল ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

বুড়িগঙ্গা-তুরাগে উচ্ছেদ অভিযান

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৮১ অবৈধ স্থাপনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মার্চ ২০১৯

দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন সাড়ে ১০ একর বাউন্ডারি দেয়ালসহ নদী দখল করে গড়ে তোলা ছোট-বড় ৮১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা-তুরাগের বসিলা উত্তরমুড়া থেকে উত্তর পাশের কিছু অংশ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যেরচর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

অভিযানে পাঁচটি তিনতলা পাকা ভবন, দুটি দোতলা, ১৯টি একতলা পাকা ভবনসহ মোট ২৮টি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ২২টি আধাপাকা স্থাপনা ও ৭টি টঙঘরও উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সাড়ে ১০ একর জায়গা দখল করে গড়ে দেওয়া ৩১টি বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে নদীর জায়গা উন্মুক্ত করে বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। উচ্ছেদ অভিযান সরেজমিন পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম, পরিচালক (বন্দর) মো. শফিকুল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক (বন্দর) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

ঢাকা নদীবন্দরের প্রধান ও বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (আজ) সকাল ৯টায় আবার বসিলা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

এর আগে প্রথম পর্বের চার পর্যায়ে মোট ১২ কার্যদিবস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় বুড়িগঙ্গা-তুরাগ পাড়ের ছোট-বড় মোট ১ হাজার ৭২১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদকৃত অংশে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করতে এরই মধ্যে ড্রেজিং করা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ কার্যদিবস এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১২ কার্যদিবস উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা হবে। জায়গা উদ্ধারের পর সেখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন ও লাইটিংয়ের কাজ হাতে নেবে বিআইডব্লিউটিএ। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা।

উচ্ছেদকৃত এলাকা যাতে পুনরায় বেদখল না হয়ে যায় সেজন্য কঠোর মনিটরিং ও পাহারাদার নিয়োগের ব্যবস্থাসহ ওয়াকওয়ে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করারও নির্দেশ দেন নৌসচিব। গত সোমবার বুড়িগঙ্গা-তুরাগে চালানো অভিযানে উদ্ধার হওয়া জায়গা পরিদর্শন করেন নৌসচিব মো. আবদুস সামাদ। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।

নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বিস্তৃত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালুর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের পুরো অর্থই সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে জোগান দেওয়া হবে। বিআইডব্লিউটিএ এটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads